ফরিদপুর-৪ আসন থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন বাদ দিয়ে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রেল ও সড়কপথ অবরোধ করা হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, এনসিপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একযোগে এ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম. ম. সিদ্দিক মিয়া অভিযোগ করেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন অন্যায্যভাবে সীমানা পরিবর্তন করে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে অন্তর্ভুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক নয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে আন্দোলন চলছে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, অথচ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যা বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “ভৌগোলিকভাবে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা ভাঙ্গা থেকে অনেক দূরে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক কিংবা যোগাযোগের ক্ষেত্রেও আলগী ও হামিরদীর সঙ্গে ফরিদপুর-২-এর কোনো সম্পর্ক নেই। যাচাই-বাছাই ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত এ দুই ইউনিয়নের মানুষের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। তাই আমাদের স্পষ্ট দাবি—এই সীমানা পরিবর্তন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।”
চেয়ারম্যান সিদ্দিক মিয়া জানান, রোববার থেকে টানা তিন দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সড়ক ও রেল অবরোধ চলবে। অবরোধ চলবে আলগীর সুয়াদি বাসস্ট্যান্ড, হামিরদীর মুনসুরাবাদ ও মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড, চান্দ্রার পুলিয়া বাসস্ট্যান্ড, ভাঙ্গা হাসপাতাল গেট, পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এবং পুখুরিয়া রেল ক্রসিং এলাকায়।
তিন দিনের কর্মসূচি শেষে নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং পরবর্তীতে কমিশন ভবনের সামনে মানববন্ধনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে