চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না। ফলে এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান গলা কাটা ফি আদায় করে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই কোনো অনুমোদন, নেই দক্ষ ল্যাব টেকনিশিয়ান। তবুও দিনের পর দিন প্রকাশ্যে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অনিয়ম চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। অনেকেই বলছেন, কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারা উপজেলায় বর্তমানে প্রায় দেড় ডজনের মতো ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, যার অধিকাংশই অবৈধ। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান না চালানোর পেছনে ঘুষ বা মাসোহারা লেনদেনের অভিযোগও উঠেছে। গুঞ্জন রয়েছে, প্রতি মাসেই এসব প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে চোখ বন্ধ রাখছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। ফলে অভিযান তো হচ্ছেই না, উল্টো সময় ও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বৈধতা ছাড়াই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার।
এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিক রোগী অভিযোগ করে বলেন, “হাসপাতালে সঠিক সেবা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে পাশের অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে যাচ্ছি। কিন্তু সেখানেও অতিরিক্ত ফি দিয়ে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে, অথচ রিপোর্টের মান নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন কর্মচারী অভিযোগ করেন, “উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যিনি এসব অবৈধ সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন, তিনি নিজেই হাসপাতালের ভেতরে বা আশপাশে রোগী দেখার চেম্বার পরিচালনা করছেন। এ অবস্থায় জনগণ কার কাছে বিচার চাইবে?”
এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম প্রথমে ফোন রিসিভ করলেও বলেন, তিনি একটি মিটিংয়ে আছেন এবং পরে কথা বলবেন। এরপর তিনি কল কেটে দেন।
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে