ময়মনসিংহের ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলায় মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে ঘটে যাওয়া দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ১১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই নারী ও নয়জন পুরুষ। ঘটনাগুলোর কারণ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, “দুটি দুর্ঘটনার ঘটনাস্থলই সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। ঘটনাগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক। যানবাহনগুলোর বিধ্বস্ত চেহারা দেখে স্পষ্ট যে বেপরোয়া গতি ছিল এর প্রধান কারণ। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল হাদি এবং তারাকান্দা থানার ওসি টিপু সুলতানও বেপরোয়া গতিকে দায়ী করেছেন। ফুলপুরের ঘটনায় জড়িত বাস চালক পলাতক থাকলেও, তার বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি আব্দুল হাদি।
নিহতদের পরিচয়
ফুলপুর দুর্ঘটনায় নিহত ৮ জন:
কাজিম উদ্দিন (২৮), লালমনিরহাট, হাতিবান্ধা
রুবেল (৩০), হালুয়াঘাট, জয়রামকুড়া
ফরিদ মিয়া (৩৮), ফুলপুর, কাজিয়াকান্দা
হাছিনা খাতুন (৫০), হালুয়াঘাট, বালিজুড়ি
জহের আলী (৭০), ফুলপুর, নিশুয়াকান্দা
শামসুদ্দিন (৬৫), হালুয়াঘাট, কয়ারহাটি
নয়ন মিয়া (৪০), হালুয়াঘাট, কালিয়ানিকান্দা
লাল মিয়া (৩৬), নেত্রকোনা, পূর্বধলা
তারাকান্দা দুর্ঘটনায় নিহত ৩ জন:
মোছা: জবেদা খাতুন (৮৫), ধোবাউড়া, বরাটিয়া
রাকিবুল হাসান (১৫), ফুলপুর, মদীপুর (কলেজছাত্র)
মোহাম্মদ আলম (৪৫), ময়মনসিংহ সদর, ঘাগড়া (সিএনজি চালক)
শুক্রবার (২০ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ সড়কের কাজিয়াকান্দা এলাকায় একটি যাত্রীবাহী মাহেন্দ্রকে দ্রুতগতির একটি বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে ৫ জন এবং পরে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, একই দিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তারাকান্দার কোদালধর বাজারের কাছে একটি ফিলিং স্টেশনের সামনে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে একটি অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ২ যাত্রী নিহত হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় চালকের।
একুশে সংবাদ/ আ.ট/এ.জে