নরসিংদীর পলাশে উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রকাশ্যে পিস্তল উঠিয়ে গুলি বর্ষণ করার এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করাসহ নিন্দার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে।
পিস্তল উঠিয়ে গুলি বর্ষণ ও সংঘর্ষের মুহুর্তটা অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার মুঠোফোনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ৩ মিনিট ২৭ সেকেন্টের ওই ভিডিওটি এই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। সেখানে দেখা যায়, একদল যুবক দেশীয় অস্ত্র দা, ছুরি, লাঠি ও পিস্তল নিয়ে দৌঁড়ে একটা পক্ষকে ধাওয়া দিচ্ছে এবং ‘গুলি কর, গুলি কর’ বলে দৌঁড়াচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই গোলাপি কালারের টি-শার্ট পরিহত এক যুবক পিস্তল উঠিয়ে গুলি বর্ষণ করতে দেখা যায়।
ভিডিওটি পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে পোস্ট দিয়ে লিখেন, "সন্ত্রাসী জুয়েল ও তার বাহিনী কর্তৃক ছাত্রদলের শান্তি মিছিলে অতর্কিতভাবে নিরীহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গুলি বর্ষণের তীব্র নিন্দাসহ জুয়েল বাহিনীর সব সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য দাবিও জানানো হয়"।
এ বিষয়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন জানান, ছাত্রদলের শান্তি মিছিলে সন্ত্রাসী জুয়েলের সরাসরি নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি বর্ষণ ও জনমনে আতঙ্ক তৈরি করতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এসময় ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল বুকে গুলিবিদ্ধ হওয়া সহ একজন পথচারীও গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন ছাত্রদল কর্মী গুরুতর আহত হওয়ার দাবি করেন এই নেতা। এ বিষয়ে জুয়েল গ্রুপের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখাসহ গুলিবর্ষণ করা ব্যক্তিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এর আগে, গত রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যালগ্নে পলাশ উপজেলা ছাত্রদল আয়োজিত মিছিল ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল মিয়া ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া পুলিশ সহ কমপক্ষে দশজন গুরুতর আহত হয়।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে