AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভূরুঙ্গামারীর বলদিয়ায় ভিজিএফ চাল বিতরণে চরম অনিয়ম, সাড়ে ১৮ মেট্রিক টন চাল অবিকৃত



ভূরুঙ্গামারীর বলদিয়ায় ভিজিএফ চাল বিতরণে চরম অনিয়ম, সাড়ে ১৮ মেট্রিক টন চাল অবিকৃত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল বিতরণে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বরাদ্দ পাওয়া ৫৭ দশমিক ৪৫ মেট্রিক টন চালের বড় অংশই বিতরণযোগ্য না হয়ে পড়ে রয়েছে—স্থানীয় বাধার মুখে অন্তত সাড়ে ১৮ মেট্রিক টন চাল এখনো অবিকৃত অবস্থায় গুদামে সিলগালা করে রাখা হয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে বলদিয়া ইউনিয়নের ৫ হাজার ৭৪৫টি দরিদ্র পরিবারকে ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বিতরণের জন্য প্রস্তুতকৃত তালিকায় দেখা যায়, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাসহ প্রায় দুই হাজার সচ্ছল ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা এসব স্লিপ আগেই কিছু ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন। তবে বিতরণের সময় সচেতন এলাকাবাসীর বাধার মুখে সেসব স্লিপ ব্যবহার করে চাল উত্তোলন সম্ভব হয়নি। ফলে চূড়ান্ত বিতরণ শেষে ১ হাজার ৮৪০ জন তালিকাভুক্ত ব্যক্তি চাল না নেওয়ায় গুদামে সাড়ে ১৮ মেট্রিক টন চাল অবিকৃত অবস্থায় থেকে যায়।

তালিকাভুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বলদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সরকার (নং-১১৩৮), ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম (নং-২৯২১), স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা লুৎফর রহমান (নং-২৯৩৯), শিক্ষক আশরাফুজ্জামান (নং-২৫৭) ও আরমান আলী (নং-২৫৮)। এদের কেউই জানতেন না তারা এই তালিকায় আছেন।

লুৎফর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার নাম ভিজিএফ তালিকায় দেখে আমি বিস্মিত। এতে সামাজিকভাবে আমি হেয় হয়েছি। যারা এটি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত।”

এদিকে ঈদের আগের দিন চাল সংগ্রহে এসে হাজারো দরিদ্র নারী-পুরুষ সারাদিন অপেক্ষা করেও চাল না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরেন। অভিযোগ করেন, জনপ্রতিনিধিরা তাদের স্লিপ অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, “তালিকায় ভুলক্রমে কিছু সচ্ছল ব্যক্তির নাম এসেছে, তবে স্লিপ বিক্রির অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

চাল বিতরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, “বিতরণের শেষ দিনেও বহু তালিকাভুক্ত ব্যক্তি চাল নিতে আসেননি। অবশিষ্ট চাল গুদামে সীলগালা করে রাখা হয়েছে।”

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস বলেন, “তালিকায় অসঙ্গতি থাকার কারণে বিতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে সঠিক তালিকা অনুযায়ী বাকি চাল বিতরণ করা হবে।”

 

একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!