নেত্রকোনার কেন্দুয়া যেন মৃত্যুর মিছিলে পরিণত হয়েছে। মাত্র ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক তিনটি ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে দুই শিশু ও এক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি।
প্রথম ঘটনায়, কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে মাহদী (৩) নামের এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহদী মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের বাশুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মামুনের ছেলে। ঈদের পর মায়ের সঙ্গে সে রাজিবপুরে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরিবারের সদস্যদের বরাতে জানা যায়, মাহদী খেলতে খেলতে সবার অজান্তে বাড়ির পেছনের পুকুরে পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দ্বিতীয় ঘটনায়, একই দিন দুপুর ৩টার দিকে কেন্দুয়া পৌরসভার মতির মোড়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চাপায় হোসাইন (৭) নামে আরেক শিশু নিহত হয়। নিহত হোসাইন উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের শহীদ মিয়া ও মরিয়ম আক্তারের ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাস্তা পার হওয়ার সময় হোসাইনকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়।
তৃতীয় ঘটনায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের মাসকা সুয়েটার ফ্যাক্টরির সামনে নজরুল ইসলাম মিন্টু (৪০) নামে এক ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তিনি ওই ফ্যাক্টরির সিকিউরিটি গার্ড এবং কেন্দুয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ‘হিমাচল পরিবহন’-এর একটি বাস মাসকা সুয়েটার ফ্যাক্টরির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মিন্টুকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুইজনের ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
একুশে সংবাদ/ নে.প/এ.জে