ময়মনসিংহের গৌরীপুর মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুকে অপপ্রচার, মিথ্যা মামলার হুমকি, চাঁদাবাজি ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে গৌরীপুর প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন মোছা. সালমা খাতুন ওরফে শান্তা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, গত ৪ মার্চ ২০২৫ তারিখে তিনি ফজলুল হক নামের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চাকরি করছেন এবং স্বামীর সঙ্গে গৌরীপুর পৌরসভার কলাবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
সালমা খাতুন জানান, তার পৈতৃক জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি প্রভাবশালী চক্র পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালায়। তিনি বলেন, ‘একদিন হঠাৎ করে কলাবাগানের সাব্বিরসহ প্রায় ১০ জন ব্যক্তি আমাদের ঘরে ঢুকে নগদ ৮ হাজার টাকা, তিন আনা স্বর্ণালঙ্কার ও আমার অফিসের আইডি কার্ড নিয়ে যায়। এরপর আমাদের কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।’
তিনি আরও জানান, চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই চক্র মাদকদ্রব্য রেখে সাংবাদিক ডেকে এনে তাকে ‘ফাঁসানোর’ চেষ্টা করে। সালমার ভাষ্যমতে, স্থানীয় এক সাংবাদিক তাকে কুপ্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং এর জের ধরে তাকে ফেসবুকে নানা অপবাদ দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাকে ও আমার স্বামীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়, কিন্তু পুলিশ কোনো আলামত না পেয়ে আমাদের মুক্ত করে দেয়। তারপর থেকেই এলাকার কিছু লোকজন আমাদের পরিবারের উপর চড়াও হয়, বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে, অপমান করে, সমাজচ্যুত করার চেষ্টা করে।’
সালমা খাতুন জানান, তিনি ইতিমধ্যে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ আদালতে একটি মানহানির মামলা (মামলা নম্বর : সিআর ৩৮৫/২০২৫) দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার দোষ একটাই—আমি একজন প্রতিবাদী নারী। আজ আমাকে শুধু চরিত্রহননের চেষ্টা নয়, সমাজ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
তিনি প্রশাসনের সহায়তা কামনা করে বলেন, ‘আমি চাই সত্যটা প্রকাশ হোক, যারা অন্যায় করছে তারা আইনের আওতায় আসুক। আর একজন সাধারণ নারীর সম্মান যেন এভাবে কেউ আর খেলো না করে।’
একুশে সংবাদ/ ম.প্র/এ.জে