চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আশপাশের এলাকায় টানা ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় জনগণ। বিদ্যুৎ না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা, দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং জরুরি সেবায় বিঘ্ন ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেন।
জানা যায়, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা, উপজেলা সদর, পোমরা, বেতাগীসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এর প্রভাবে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যত অচল হয়ে পড়ে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বিদ্যুৎ না থাকায় অন্তত ৭-৮ জন শ্বাসকষ্টের রোগী যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যান। ষাটোর্ধ সাহারা বেগমের মতো রোগীরা নেবুলাইজ সেবা না পেয়ে বাড়ি ফেরেন। চিকিৎসকদের মোবাইল ফোন ও মোমবাতির আলোতে সেবা দিতে হয়।
এছাড়া বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম ব্যাহত হয়। পানির সংকটে পড়ে শত শত মানুষ। মোবাইল ফোন চার্জ না থাকায় অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এই অবস্থায় দুপুরের দিকে ক্ষুব্ধ জনতা রাঙ্গুনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকলেও কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম ভজন কুমার বর্মণ বলেন, “গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ায় সংযোগ পুনঃস্থাপনে সময় লেগেছে। আমাদের অনেক কর্মী বর্তমানে আন্দোলনে থাকায় জনবল কম ছিল। তবে আশা করছি, রাতের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হবে।”
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মামুন অর রশিদ বলেন, “লোকবল সংকটই মূলত এ দেরির কারণ। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে।”
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে