বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর রেল স্টেশনের উপর সরকারি অনুমোদন ছাড়াই কুরবানির হাট বসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার (২ জুন) স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পূর্ব নির্ধারিত স্থানেই আবারও হাট বসানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার গরু প্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং সোমবার গরু প্রতি ৫০০ টাকা করে টোল আদায় করা হয়েছে। অথচ হাটটি অবৈধ হওয়ায় সরকারের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাষ্ট্র। আদায়কৃত অর্থ হাট পরিচালনাকারীদের পকেটেই ঢুকছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে রোববার (১ জুন) উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বলেন, “নশরতপুর স্টেশনে বসানো কুরবানির হাটের কোনো সরকারি অনুমোদন নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা হয়েছে, কিন্তু তারা মানছে না। আগামীবার হাট বসালে সেনাবাহিনীসহ অভিযান চালানো হবে।”
কিন্তু বাস্তবে সোমবারও প্রশাসনের উপস্থিতি দেখা যায়নি, বরং রেলস্টেশনের প্রায় আধা কিলোমিটারজুড়ে হাট বসে যথারীতি। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির মদদেই কি হাট চলমান?
নশরতপুর হাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকমান হোসেন বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমরা আবেদন করেছি অনুমতির জন্য, হয়েছে কি হয়নি জানি না।” তবে অবৈধ টোল আদায়ের বিষয়ে প্রশ্ন করায় তিনি রাগান্বিত হয়ে সাংবাদিককে ফোন কেটে দেন।
রেলওয়ের বগুড়ার সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (পথ) নারায়ণ চন্দ্র জানান, “বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় ইউএনওকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নিয়ম না মেনে রেল লাইনের ওপর হাট বসাচ্ছেন।”
একুশে সংবাদ / ব.প্র/এ.জে