উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে গত ২৮ মে সকাল থেকে মনপুরা উপজেলায় টানা বাতাস ও বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপকূলীয় চরাঞ্চল বিশেষ করে চর কলাতলি এলাকায় ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। জোয়ারের তোড়ে মনপুরা উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে টানা বৃষ্টিপাত ও নদীর জোয়ারের তীব্র স্রোতে অনেকের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে অনেক এলাকায়। মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এই প্রাকৃতিক অবস্থার প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানানো হয়।
এছাড়া মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
একুশে সংবাদ / ভো.প্র/এ.জে