জামালপুরে কেন্দ্রীয় আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সংস্কার ও আধুনিকায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বাসচালক ও পরিবহন শ্রমিকরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে তিন ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা ১১টা থেকে জেলা কেন্দ্রীয় আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের সামনে জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বাস দাঁড় করিয়ে অবরোধ শুরু করে বাসচালক ও পরিবহন শ্রমিকরা।
সড়ক পথে জামালপুর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ টাঙ্গাইল, বগুড়া, পাবনা, বেনাপোল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন রুটে যাতায়াতের একমাত্র বাস টার্মিনাল এটি। কিন্তু টার্মিনালটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ, থাকা-খাওয়া, টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় চালক, শ্রমিক ও যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এছাড়াও টার্মিনাল এলাকাজুড়ে কাদামাটি আর আবর্জনায় পরিপূর্ণ। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে টার্মিনালে। এতে করে বাস পার্কিং করতে চালকদের বিপাকে পড়তে হয় এবং বাসের যন্ত্রাংশ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। যদি এখনই টার্মিনালের সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা না হয়, তাহলে আসন্ন ঈদে বাসচালক, শ্রমিক ও যাত্রীদের অনেক বেশি দুর্ভোগে পড়তে হবে।
বার বার দাবী জানালেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে টার্মিনাল সংস্কার করা না হলে সড়ক অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়ার কথা জানান বাস মালিক, চালক ও শ্রমিকরা।
বাসচালক বাবুল মোল্লা বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনকে জানানো হলেও টার্মিনালের উন্নয়ন ও সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। টার্মিনালে পানি জমে থাকে যাত্রীদের উঠানামায় বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এছাড়া বাসের রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হয় না, অনেক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যায়। টার্মিনাল সংস্কার না হলে আসন্ন ঈদে গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।
অবরোধ চলাকালে যান চলাচল বন্ধ থাকায় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়, দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন টার্মিনালে গিয়ে বাস মালিক, চালক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। প্রশাসনের আশ্বাসে তিন ঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিকে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে বাস চালক ও শ্রমিকরা।
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শুভ বলেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে আমরা আপাতত অবরোধ প্রত্যাহার করছি। অবিলম্বে টার্মিনালের সংস্কার করা না হলে আবারও অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এই বাস টার্মিনালের সংস্কারে ২৪ কোটি টাকার কাজের পরিকল্পনা আছে। চলতি অর্থবছরে আশি লক্ষ টাকার প্রকল্প অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রকল্প অনুমোদনের আগ পর্যন্ত চেষ্টা করব কিভাবে সমস্যা সমাধান করা যায়।
একুশে সংবাদ/প.প্র/এ.জে