সরকারি পাঠ্যবই চুরির ঘটনায় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মোক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে রৌমারী উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান জানান, শেরপুর সদর থানায় দায়ের করা একটি বই চুরির মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের সহায়তায় মোক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে শেরপুরে নিয়ে যান।
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি রাতে শেরপুর সদর উপজেলায় একটি ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি পাঠ্যবই জব্দ করে পুলিশ। ট্রাকভর্তি বইগুলো ২০২৫ সালের জন্য বরাদ্দকৃত অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের ছিল। মোট বইয়ের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৬৭০টি।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, এই বইগুলো কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাচার করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ট্রাকচালক সজল মিয়া, বই পাচারে জড়িত মাইদুল ইসলাম এবং রৌমারী শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) জামাল উদ্দিন।
গ্রেপ্তারকৃত পিয়ন জামাল উদ্দিন ২৪ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি জানান, অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মোক্তার হোসেনের নির্দেশেই সরকারি বইয়ের গোডাউন খুলে ট্রাকে বই তোলা হয়।
শেরপুর থানার পুলিশ জানায়, বই পাচার চক্রে আরও কয়েকজন জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন—উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম, অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মোক্তার হোসেন, বই সরবরাহকারী মাইদুল ইসলাম, এবং ঢাকার মাতুয়াইলে অবস্থিত রেজা প্রিন্টিং প্রেসের ম্যানেজার মনির।
এই ঘটনায় শিক্ষা খাতের নিরপেক্ষতা ও সরকারি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির বিষয়টি আরও একবার সামনে এলো। তদন্তে অপরাধে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
একুশে সংবাদ/কু.প্র /এ.জে