AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাউফলে ইউএনওর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঝাড়ু মিছিল



বাউফলে ইউএনওর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঝাড়ু মিছিল

জাতীয় পর্যায়ে একাধিকবার পুরস্কারপ্রাপ্ত, চারবার মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী, দৈনিক কালের কণ্ঠের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি এমরান হাসান সোহেলের সাথে বাউফল উপজেলার দুর্নীতিবাজ ইউএনও আমিনুল ইসলামের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য আচরণের প্রতিবাদে এবং অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বুধবার (২১মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় স্থানীয় বাউফল পাবলিক মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরের মূল ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।


উপজেলার সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে আয়শাতুন্নেছা বর্ষা, শুভচন্দ্র শীল, শাহানাজ আক্তার ও রিকশাচালক মমিন প্রমুখ।


বক্তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এই ইউএনওকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাউফল থেকে অপসারণ করা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।


এ সময় রিকশাচালক মমিন বলেন, সম্প্রতি আমি উপজেলা চত্বরের মূল ফটকের পাশে আমার রিকশা রাখায় আমাকে চড় থাপ্পড় মারেন। এবং আনসারকে নির্দেশ দেন আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তখন তার গাড়িচালক ইব্রাহিমের অনুরোধে আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।


উল্লেখ্য, গত ১৯ মে বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে ইউএনওকে দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির বাউফল উপজেলার সভাপতি এমরান হাসান সোহেলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আপনি আমার অনুমতি না নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন কিভাবে করলেন?


জবাবে সোহেল বলেন ভাই আপনার দপ্তরে একাধিকবার গিয়েছিলাম আপনাকে না পেয়ে ফোন দিয়েছি আপনি ফোন রিসিভ করেননি। তখন ইউএনওকে ভাই বলাতে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যান। রাগাম্বিত কণ্ঠে ইউএনও বলেন, আমাকে ভাই বললেন কেন? আমাকে স্যার বলবেন।


সোহেল বলেন আপনি একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী আপনাকে স্যার ডাকতে বাধ্য নই আর যেহেতু এটা রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম এজন্য আপনি ফোন রিসিভ করতে বাধ্য। তখন ইউএনও বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের এমন চাকর মালিককে শাস্তিও দিতে পারি। আমি কারো ফোন ধরতে বাধ্য নই, আমার বাংলোতে যাবেন, বাংলো একটা অফিস।


গত ১৯ মে এ ঘটনার শতাধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।


একুশে সংবাদ////র.ন

Link copied!