রাজশাহীর তানোরে দিন দিন বেড়েই চলেছে প্রকাশ্যে এজেন্টের মাধ্যমে ওয়ান এক্সবেট নামের ক্যাসিনো জুয়া খেলা। এ জুয়া খেলায় ছোট-বড় কেউ যেন বাদ নেই। বাড়িঘর, জায়গা জমি বিক্রি করে এ ক্যাসিনো জুয়া খেলে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। তবুও যেন টনক নড়ে না প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। জানা গেছে, এ ক্যাসিনো জুয়া খেলা তানোর উপজেলা জুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষিত সমাজ থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া কৃষক-শ্রমিক পর্যন্ত এ ক্যাসিনো জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে তানোর পৌর সদর ও কামারগাঁ ইউনিয়নে বেশি পরিমাণে মানুষ এ ক্যাসিনো জুয়া খেলায় আসক্ত। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, একটি চক্র তানোরের বিভিন্ন পয়েন্টে ওয়ান এক্সবেট জুয়া খেলার টাকা আইডিতে লোড দেয়ার জন্য উঠতি বয়সের শিক্ষিত যুবকদের এজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে।
এই এজেন্টদের কাজ দিনরাত শুধু আইডিতে টাকা লোড দেয়া। তারা স্থানীয় হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। ফলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওয়ান এক্সবেট জুয়া খেলায় মানুষদের আসক্ত করে চলেছে ক্যাসিনো এজেন্টরা।
ওয়ান এক্সবেট খেলে নিঃস্ব হওয়া যুবক তানোর পৌর সদর গোল্লাপাড়া গ্রামের সিএনজিচালক আকতার হোসেন, ফিটু, আলমগীর হোসেন ও কামারগাঁ ইউনিয়নের কামারগাঁ গ্রামের দুলালের পুত্র রাজু। তারা এ ওয়ান এক্সবেট ক্যাসিনো জুয়া খেলতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, এ ক্যাসিনো জুয়ার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন তানোর পৌর সদর ব্যাক মোড়ের সিএনজিচালক হাবিব ও কামারগাঁ ইউনিয়নের কামারগাঁ গ্রামের জামালের পুত্র সবুজ, মুকুলের পুত্র নাহিদ, ময়াজের পুত্র ফারুকসহ নিলিন নামের কয়েকজন।
এ চক্রটি ক্যাসিনো খেলায় আসক্ত ব্যক্তিদের কাছে থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা ও সোনাদানা। সচেতন মহলের মন্তব্য, এখনি এদের রোধ করা না গেলে আগামী প্রজন্ম চরম অবনতির দিকে যাবে। এখনি সময়, দ্রুত প্রশাসনকে এদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। এ বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আফজাল হোসেন জানান, এসব বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

