কেশবপুরে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ৫৩ লাখ টাকা চুরির অভিযোগ এনে এক ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার (১৭ মে) বিকেলে কেশবপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার আলতাপোল গ্রামের ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী মোমরেজ শেখ। তিনি জানান, গত ৮ মে কেশবপুর প্রেসক্লাবে কায়পুত্র সম্প্রদায়ের কয়েকজন নারী—নির্মল মণ্ডলের স্ত্রী নিসফলা রানী মণ্ডল এবং নিখিল মণ্ডলের স্ত্রী সবিতা রানী মণ্ডল—সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, কায়পুত্র সম্প্রদায়ের পুরুষেরা মিথ্যা মামলার কারণে ঘরছাড়া হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মোমরেজ শেখ দাবি করেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে কায়পুত্র সম্প্রদায়ের কোনো বিরোধ ছিল না; বরং সুসম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে তাদের একজন, অরূপ কুমার মণ্ডল, আমার দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।”
মোমরেজ শেখ অভিযোগ করেন, কায়পুত্র সম্প্রদায়ের সুমন তার ২ শতক জমি বিক্রি করতে চাইলে তিনি তা কিনতে আগ্রহী হন। তখন থেকেই সুমনের স্ত্রী ভক্তি রানী মণ্ডল প্রায়ই তার (মোমরেজের) স্ত্রীর সঙ্গে জমি বিক্রির বিষয়ে আলোচনা করতে বাড়িতে আসতেন। তবে নিখিল মণ্ডল জমি বিক্রিতে আপত্তি জানান এবং তার অনুপস্থিতিতে মোমরেজের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন।
মোমরেজ শেখের দাবি, “নিখিল মণ্ডল আমার স্ত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং জমি কেনার জন্য রাখা ৫৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। আমি, আমার ছেলে ও পুত্রবধূ বিষয়টি জানতে পেরে স্ত্রীর ওপর চাপ প্রয়োগ করলে সে মেয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে রাত কাটায়।”
পরে নিখিল মণ্ডল ভুল স্বীকার করে তার স্ত্রীকে পুনরায় বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে বলেন। এ ঘটনার পর মোমরেজ শেখ নিখিল মণ্ডল, দিপঙ্কর মণ্ডল, অরূপ কুমার মণ্ডল, বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও সম্রাট মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, “উল্টো তারা একটি এনজিওকে সঙ্গে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে এবং ওই টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছে। আমি এখন নিঃস্ব। আমার ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি উর্ধ্বতন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশের অনুরোধ জানান।
একুশে সংবাদ/ য.প্র/এ.জে