AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ১০ মে, ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরণ



সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরণ

মাদারীপুরের রাজৈরে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ঘিরে দলীয় কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে উপজেলার হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের কালিবাড়ি বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ এবং বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়ার অনুমতিক্রমে সাবেক সভাপতি ডা. আবুল কালাম শিকদার সম্মেলনের আয়োজন করেন। তবে সম্মেলন আয়োজনের বিষয়টি বেশিরভাগ ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের না জানানোর অভিযোগ উঠে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় নেতারা বিক্ষোভ শুরু করেন।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ডা. আবুল কালাম অনুসারী গ্রুপের সঙ্গে রাজৈর উপজেলা বিএনপির নেতা আরিফ হাওলাদার গ্রুপের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে জিয়া পরিষদের সদস্য মো. জিয়াউর রহমান জিয়া ও আব্বাস শিকদারের নাম জানা গেছে।

দলীয় নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই সম্মেলনে বিএনপির অন্তত তিনটি গ্রুপ সক্রিয় ছিল—মিল্টন বৈধ্য গ্রুপ, ওহাব মিয়া গ্রুপ ও আরিফ হাওলাদার গ্রুপ। আবুল কালাম শিকদার দাবি করেন, তার সম্মেলন থামাতে আওয়ামী লীগের লোকদের ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে গোলযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। অন্যদিকে, আরিফ হাওলাদার অভিযোগ করেন, কালাম শিকদার দায়সারা আয়োজন করে অধিকাংশ নেতাকর্মীকে ডেকে না আনায় স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে।

সম্মেলনের উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা বিএনপি সাত দিনের মধ্যে কমিটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিল্টন বৈধ্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান লেবু কাজী ও লন্ডন বিএনপি নেতা বাবু হাওলাদার।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এদিকে, রাজৈর থানার তদন্ত কর্মকর্তা সঞ্চয় কুমার ঘোষ জানান, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল বাশার বিষয়টি তদারকি করেছেন।

এই ঘটনার পর এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

 

একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে

Shwapno
Link copied!