নিউ প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হসপিটাল লিমিটেডের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেল ৫টায় ওই হাসপাতালের তৃতীয় তলায় সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা বাজার সড়কের (প্রশিকা মোড়ে) অবস্থিত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাসপাতালের কর্পোরেট ম্যানেজার নাজমুল হাসান বলেন, গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. নূসুর আক্তার গত এক বছর যাবৎ আমাদের হাসপাতালে চেম্বার করে আসছিলেন। শুরুর দিকে রোগী সংখ্যা ভালো থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তাদের রোগী উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এতে রোগীদের পক্ষ থেকে একাধিক অভিযোগ আসে। ওই চিকিৎসক বিভিন্ন সময়ে গাজীপুর ও ঢাকার অন্য হাসপাতালে রোগীদের পরীক্ষা করাতে উৎসাহিত করতেন। এতে অনেক রোগী ভোগান্তিতে পড়তেন। রোগীদের ভোগান্তির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে একাধিকবার আলোচনার চেষ্টা করলেও তিনি কোনো সদুত্তর দেননি। আমরা তাকে সম্মানের সাথে চেম্বার বন্ধ রাখার অনুরোধ জানালে তিনি হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো শুরু করেন। অপপ্রচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চলাচ্ছেন ওই চিকিৎসক, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
অভিযুক্ত চিকিৎসক নূসুর আক্তার বলেন, আমি এক বছর যাবৎ তাদের সাথে কাজ করতেছি। আমি সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা তাদের (প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক) কাছে দিতাম। কিছু রোগী আছে বন্ধ্যাত্ব্য (যাদের বাচ্চা হয় না)। ওইসব রোগীদের স্বামীর বীর্য পরীক্ষা এবং স্ত্রীর টিবিএস (এক ধরনের আল্ট্রাসোনো) যেটা সবাই করতে পারে না এবং সব হাসপাতালে মেশিনও নেই। বীর্য পরীক্ষা তাদের কথামতো তাদের হাসপাতালে যেগুলো দিয়েছি সেগুলোর মধ্যে প্রথম দুইটা রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভূয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমার কাছে কোনো প্রমাণ ছিল না। তখন হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছিলাম বীর্য পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল আসে এবং এই রিপোর্ট দিয়ে আমি রোগীর ট্রিটমেন্ট করতে পারব না। বাধ্য হয়ে ওইসব রোগীর এসব পরীক্ষা অন্যান্য হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছে। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে অন্য যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়।
একুশে সংবাদ/গা.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :