গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা থেকে অপহৃত পল্লী চিকিৎসক তরিকুল ইসলামকে (৩৫) উদ্ধার করা হয়েছে।
অপহরনণর তিন দিন পর সোমবার বিকালে বগুড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাকে। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে ধরতে পারেনি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা।
গোপন সংবাদের ভিক্তিতে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্প ও র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্প এবং সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বগুড়া জেলার সদর থানাধীন নিশিন্দারা এলাকা থেকে ওই পল্লী চিকিৎসককে উদ্ধার করা হয়। এরই মধ্যে আইনশৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে অপহরণকারীরা সটকে পড়ে।
পরে ওইদিন রাতেই গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) বিদ্রোহ কুমার কুন্ড সাদুল্লাপুর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংএ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রেস ব্রিফিংএ তিনি আরো বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে তরিকুল বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে ভাতগ্রাম বাজারে তার দোকানে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে উপজেলার হাতি চামটার ব্রিজ এলাকায় দলবদ্ধ দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে জোরপূর্বক তাকে অটোরিকশা-ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। তারপর তাকে চোঁখ বেঁধে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর অপহরণকারীরা তার স্বজনদের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরনণর পর তাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোর পূর্বক তিনটি নন জুডিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় অপহরণকারীরা।
সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) বিদ্রোহ কুমার কুন্ড সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওই এলাকায় সড়কের ওপর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
অপহরণের সময় পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ সময় ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার পল্লী চিকিৎসক তরিকুল অপহরণের একটি ভিডিও চিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে, সংঘবদ্ধ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তরিকুল ইসলামকে টেনেহিঁচড়ে একটি অটোরিকশ-ভ্যানে তুলছে। এতে তার পরিহিত পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়। রিকশ-ভ্যানে তোলার পর কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ তাকে ধরে বসে আছে। এ সময় ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনের মধ্যে পুলিশের পোশাক ও হেলমেট পরা এক ব্যক্তিকে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি পায়চারী করছেন। আর এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে কিন্তু প্রশাসনের লোক আছে।’ কিন্তু তরিকুল তাদের সাহায্য চাইলেও সবাই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই পুলিশ কর্মকর্তা অপহরণের সময় বাধা দেননি।
একুশে সংবাদ/গা.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :