দিগন্তজোড়া সোনালি ধান, চোখ যতদূর যায় সবুজ আর হলুদের মোহনীয় ছোঁয়া। এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এখন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মাঠজুড়ে। কৃষকের স্বপ্নের সোনার ফসল পাকতে শুরু করলেও মৌসুমের শুরুতেই দেখা দিয়েছে চরম শ্রমিক সংকট, যা ফসল সংগ্রহে বড় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ধনবাড়ী উপজেলায় ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাত যেমন— ব্রি ধান-৮৯, ৯২, ১০২, ১০৪ এবং নতুন জাত ব্রি ধান-১০৮ চাষের মাধ্যমে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষক উন্নত জাতের ধান চাষে ভালো ফলন পেলেও এখন কাটার শ্রমিক সংকটে পড়েছেন। প্রচণ্ড গরম, বর্ধিত মজুরি (দিনপ্রতি ৮০০ টাকা পর্যন্ত) সত্ত্বেও মিলছে না পর্যাপ্ত শ্রমিক। অনেক কৃষক নিজের পরিবার-পরিজন নিয়ে ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন।
মুশুদ্দি ইউনিয়নের কৃষক জলিল বলেন, “এই বছর ব্রি-৯২ ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো— ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছি না।”
আরেক কৃষক রশিদ আকন্দ জানান, “পাকা ধান মাঠে পড়ে আছে, কিন্তু শ্রমিক নেই। গরমও প্রচণ্ড। ঝড়-বৃষ্টির আগে ধান ঘরে তুলতে পারবো কি না, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, “আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বোরো ধানের ফলন চমৎকার হয়েছে। তবে শ্রমিক সংকট থাকলেও আমরা কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত ধান কাটার ব্যবস্থা করছি।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, যান্ত্রিক সহায়তায় দ্রুত ফসল ঘরে তুলে কৃষকের মুখে হাসি ফেরা সম্ভব হবে।
একুশে সংবাদ// টা.প্র/ এ.জে