নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সাওঘাট এলাকায় অবস্থিত বিসমিল্লাহ আড়ত ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে আড়ত প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদাবাজি, জুলুম ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে তারা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
বিসমিল্লাহ আড়তের পরিচালক আইয়ুব আলী সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, সেলিম প্রধানের ১৬ বিঘা ডোবা, পুকুর, নিচু ও খালি জমি ১০ বছর মেয়াদে চুক্তিপত্র করে বিসমিল্লাহ আড়তের নামে ভাড়া নেন। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই চুক্তির মেয়াদ। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে এটি কার্যকর হবে বলে চুক্তিপত্রে উল্লেখ আছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তিনি সেলিম প্রধানকে জামানত বাবদ মোট ৭০ লাখ টাকা দেয়া হয়।
চুক্তিপত্রের শর্ত অনুযায়ী মজিবুর রহমান ওই জমি ১৫ লাখ ঘনফুট বালু দিয়ে ভরাট করেন। বালু ভরাট, গাইডবাঁধ, শ্রমিক খরচসহ এ সময় তাঁর ১ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। জামানতসহ যা ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাঁড়ায়। পরে ওই জায়গায় ৮ কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ৩৫০টি দোকান ঘর নির্মাণ করেন তিনি। যা বর্তমানে আড়ত হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তা নির্মাণ, মসজিদ, অফিস নির্মাণ, বিদ্যুৎ সংযোগ, প্রয়োজনীয় টয়লেট নির্মাণ ও অজুখানা নির্মাণসহ সবমিলিয়ে এখানে তিনি ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করেন। চুক্তি অনুযায়ী তিনি ১০ বছর ভাড়াটিয়া হিসেবে ভোগদখল করবেন। কিন্তু সেলিম প্রধান দীর্ঘদিন ধরে আড়ত দখলে নিতে ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজি, মামলা হামলা, জুলুম নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসবিরোধী মিছিলে অন্যায় ভাবে সেলিম প্রধানের নিয়োজিত সন্ত্রাসীরা হামলা করে। তবে, এ সংঘর্ষের ঘটনার ব্যাপারে আড়ত ব্যবসায়ীরা কোন প্রকার জড়িত নয়।
আইয়ুব আলী অভিযোগ করে আরো বলেন, আমরা এখানে ব্যবসা করতে বসেছি। আমাদের চুক্তি অনুযায়ী সময় শেষ হলে জমি বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাব। শান্তিপূর্ণভাবে আড়ত পরিচালনার জন্য প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
একুশে সংবাদ////র.ন
আপনার মতামত লিখুন :