অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশের গাছ ও ফসল কেটে নষ্ট করা নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা ও কিরনগঞ্জ সীমান্তে উত্তেজনার পর স্বাভাবিক হয়েছে সীমান্তের পরিস্থিতি। সর্তক অবস্থান নিয়ে টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। এমনকি সীমান্তের জিরো লাইনের আশেপাশে উৎসুক জনসাধারণকে যেতে দিচ্ছেন না বিজিবি সদস্যরা।
রবিবার (১৯ জানুয়ারী) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। চৌকা ও কিরনগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় বাড়ানো হয়েছে টহল কার্যক্রম। কৃষক ছাড়া কাউকেই সীমান্ত এলাকায় যেতে দিচ্ছে না বিজিবি।
এনিয়ে ৫৯ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যান্য দিনের ন্যায় টহল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত এলাকার জনসাধারণকে নিয়ে দফায় দফায় মতবিনিময় সভা করা হচ্ছে, যাতে কেউ সীমান্তের জিরো লাইন অতিক্রম না করে। পাশাপাশি কৃষক ছাড়া যেন কেউ সীমান্ত এলাকায় না যায়, সেবিষয়ে সর্তক পাহারা দেয়া হচ্ছে।
গতকালকের ঘটনায় বিএসএফকে প্রতিবাদ জানিয়ে পত্র দেয়া হয়েছে জানিয়ে বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, গত কয়েকদিন আগে হওয়া কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে বাধা দেয়ার পর হওয়া উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের নাগরিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশী নাগরিকের ভারতে গিয়ে গম কাটা বা ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করে গাছ কাটার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এমন ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে যেন না হয়, সেবিষয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সাথে মতবিনিময় সভা করেছি।
শনিবার (১৮ জানুয়ারী) দুপুরে ভারতীয় নাগরিকরা জিরো লাইন পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আমগাছ কাটলে বাধা দেয় বাংলাদেশী নাগরিকরা। এমনকি বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের নাগরিকরা। এসময় ভারতীয় নাগরিক ও বিএসএফ সদস্যরা ১০টি ককটেল, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও পাথর নিক্ষেপ করে। পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে তারা৷ এতে পাথর ও হাঁসুয়ার আঘাতে আহত হয়েছেন, শিবগঞ্জেল উপজেলার কালীগঞ্জ নামোটোলা এলাকার মেসবাহুল হক, বিশ্বনাথপুর গ্রামের মো. রনি ও মো. ফারুক। পরে বিকেলে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

