AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভালুকা মডেল থানার ওসিকে নিয়ে ভেটিং বিতর্ক: ষড়যন্ত্রের জালে এক নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তা



ভালুকা মডেল থানার ওসিকে নিয়ে ভেটিং বিতর্ক: ষড়যন্ত্রের জালে এক নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তা

ময়মনসিংহের প্রবেশদ্বার, শিল্পসমৃদ্ধ জনপদ ভালুকা। এই জনপদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ূন কবির। অথচ সম্প্রতি তাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু অনলাইন গণমাধ্যমে একের পর এক বিতর্কিত প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

বিশেষ করে “ভালুকার ওসি হুমায়ুন কবীর ছিলেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি, বাবা আ’লীগের আইন সম্পাদক”—এই শিরোনামে একটি সংবাদ ‘দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সেখানে দাবি করা হয়, হুমায়ুন কবীর একসময় সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০০২ সালে সিলেটের লালাবাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি ও ২০০৪-২০০৫ সালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ছিলেন।

এই অভিযোগের সূত্র ধরে অপপ্রচার চালানো হয় যে, তিনি নাকি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ছিলেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া আইডি এবং পেইজের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে চরিত্র হননের প্রচেষ্টা।

তবে স্থানীয় পর্যায়ে অনুসন্ধান করে ও প্রাপ্ত প্রমাণ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এই অভিযোগগুলোর কোনো সুনির্দিষ্ট ভিত্তি নেই। স্থানীয় প্রবীণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সিলেটের সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগ নেতাদের বক্তব্য, এবং সরেজমিন তদন্তের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ওসি হুমায়ূন কবীর কখনো ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না।

এ বিষয়ে প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক তার ফেসবুক ভেরিফায়েড আইডিতে দাবি করেছেন, “পর্যাপ্ত প্রমান হাতে নিয়েই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। সময় সাপেক্ষে সেগুলো প্রদর্শণ করা হবে।” তবে এখন পর্যন্ত সেই তথাকথিত প্রমাণের কোন দৃশ্যমান ও গ্রহণযোগ্য উপস্থাপন করা হয়নি।

এদিকে, সংবাদে যেসব পুলিশ কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে উদ্ধৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাদের একজন—পুলিশ পরিদর্শক মিন্টু—স্পষ্টভাবে জানান, “ওসি হুমায়ূন কবিরের বিষয়ে তিনি এ ধরনের কোনো কথা বলেননি কারো কাছে। অযথায় সংবাদে তার নামে ভুয়া বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।”

এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সচেতন মহল, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং সাধারণ জনগণ বলছেন, এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, “সামান্য একজন প্রতিনিধি থেকে একটা পত্রিকার সম্পাদনা কিভাবে করেন অর্থের উৎস কি এগুলো নিয়েও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে।”

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর প্রকাশিত নিউজের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, “আমি কখনো নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। এগুলো শুধুমাত্র বিশেষ সুবিধা হাতানোর কায়দায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যদি আমার বিরুদ্ধে এসব নেতিবাচক গুঞ্জনের যথার্থ প্রমান থেকে থাকে, তবে তা সংশ্লিষ্ট দফতরে পেশ করুন। অহেতুক আমার নামে বদনাম রটাবেন না।”

তিনি আরও বলেন, “গত বছরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পক্ষ নিয়ে খাইরুল আলম রফিক আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে তিরস্কামূলক কটুক্তি করেছিলেন। যার ফলে ত্রিশাল উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা তার গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকেন।”

৪৭ দিনের কার্যক্রমে ভালুকায় নজিরবিহীন অগ্রগতি ওসি হুমায়ূন কবিরের নেতৃত্বে মাত্র ৪৭ দিনেই ভালুকা মডেল থানার আইনশৃঙ্খলায় নজরকাড়া পরিবর্তন এসেছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি অপরাধ দমনে দেখিয়েছেন সাহসিকতা ও দক্ষতা।

এই সময়ের মধ্যে তিনি—সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি,মাদক কারবারি ও মাদকসেবী, ছিনতাইকারী, গরু চোর, চোরচক্র, প্রতারক ও মহাসড়ক-নির্ভর ডাকাতচক্র, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ সহ মোট ২৫০ জনের বেশি অপরাধীকে গ্রেফতার করেছেন।

বিশেষ করে তোফাজ্জল হত্যা মামলার প্রধান আসামিদের আটক করে জনগণের আস্থা অর্জনে সফল হয়েছেন।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, “ভালুকায় মাদক নির্মূল সম্ভব একমাত্র হুমায়ূন স্যারের হাত ধরেই। তিনি যুবসমাজের রক্ষাকবচ।”

এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বলেন, “ভালো মানুষ হওয়াই এখন সবচেয়ে বড় অপরাধ। অথচ হুমায়ূন কবীর দিন-রাত ভালুকাবাসীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত।”

সামাজিক দায়বদ্ধতা ও নেতৃত্বগুণে অনন্য ওসি হুমায়ূন কবীর একজন বিনয়ী, সৎ ও জনবান্ধব পুলিশ কর্মকর্তা। ভালুকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ। তার মানবিকতা, পেশাদারিত্ব ও অপরাধ দমনে দক্ষতা ভালুকা থানাকে এক নতুন পরিচয়ে পরিচিত করেছে।

এই দেশে যখন একজন নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা তার সততা ও সাফল্যের কারণে জনস্বার্থে কাজ করে যান, তখনই একটি সুবিধাবাদী মহল তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ূন কবীর সেই বিরল দৃষ্টান্ত, যিনি স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের জাল ছিন্ন করে সত্যের শক্তিতেই তিনি এগিয়ে যাবেন—এটাই সকল সচেতন নাগরিকের প্রত্যাশা।

 

একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!