ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের নামের শেষে রশি যুক্ত করা হয়েছে। অনেকেই জানেন না কেন গ্রামের নামের শেষে রশি যুক্ত হলো।
গ্রামগুলোর নাম হলো- আড়াইরশি, চাররশি, সাতরশি, সাড়ে সাতরশি, আটরশি, নয়রশি, চৌদ্দরশি, সতেররশি, বাইশরশি ইত্যাদি। এরকম অদ্ভুত ও অবাক করা গ্রামের নাম হলো কেন? তা নিয়ে অনেকেরই কৌতুহল থাকা স্বা্ভাবিক।
সদরপুরের কিছু গ্রামের নামের শেষে কেন রশি যুক্ত হলো তা নিয়ে নানা রকম ধারণা রয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। তবে এই নামগুলো পাকিস্তান কিংবা বৃটিশ আমল থেকে নয়-খোদ মোগল আমল থেকে প্রচলিত আছে।
মোগল আমলে তথ্য-প্রযুক্তির কোনো উন্নত রূপরেখা আমরা দেখতে পাইনি। তখন মানুষ তাদের জায়গা-জমি পাটের রশি দিয়ে মাপা-মাপি করতো। আর সদরপুর তখন ছিল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অনুন্নত এলাকা। এই রশি দিয়ে জমি মাপার কারণেই গ্রামগুলোর নামের শেষে যুক্ত হয়েছে রশি। অন্য একটি গ্রহণযোগ্য ধারণা প্রচলিত রয়েছে তা হলো- পদ্মা নদী থেকে কোন্ গ্রামের দূরত্ব কতটুকু সেই অনুযায়ী গ্রামের নাম হয়েছে বাইশরশি বা আটরশি এভাবে। তখনকার পদ্মার কিনারা থেকে শুরু করে রশি দিয়ে জায়গা-জমি মাপা-মাপি হতো। সেই পদ্মার অবস্থান অনেক পরিবর্তন হয়েছে বর্তমান সময়ে।
সদরপুরের উইকিপিডায় উল্লেখ আছে- ‘সদরপুরের বিভিন্ন গ্রামের নামের শেষে রশি শব্দের প্রয়োগ দেখা যায়। মোগল আমলে রশির মাপে (১০০ হাত) জায়গা জমির পত্তন দেয়া হত (জমিদারের কাছ থেকে) বলে রশি শব্দযোগে এলাকার নাম হয়েছে।’ বাইশরশি গ্রামে তখনকার জমিদারদের বাড়ি ছিল।
বেশ কয়েকজন পির আউলিয়া দরবেশের আগমন ঘটে সদরপুরে। খাজা শাহ সুফি মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ (রা.) বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরিফ রয়েছে ‘আটরশি’ গ্রামে। অপরদিকে সাড়ে সাতরশি গ্রামে পির মাওলানা ইসাহাক (ধলামিয়া) (রা.) কবর।
একুশে সংবাদ/এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :