গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা বন্দরের মাংস ব্যবসায়ীরা কোন রকম ডাক্তারী পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিনিয়ত গরু, মহিষ ও ছাগল ভেড়া জবাই করে মাংস বিক্রি করে আসলেও দেখার যেন কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তাবাবুদের কোন রকম তদারকি না থাকায় সরকারী সকল নিয়মনীতি ও নির্দেশনা অমান্য করে এই ধরনের কাজ হচ্ছে।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানায়, নলডাঙ্গার মাংস ব্যবসায়ীরা পশুর জবাইয়ের আগে সরকার নির্দেশিত কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমত ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়াই সুস্থ-অসুস্থ গরু, মহিষ ছাগল ও ভেড়া জবাই করে তা বিক্রি করে আসছে। আর ক্রেতা সাধারন জবাইকৃত এসব পশুর মাংস সহজ সরল বিশ্বাসে কিনে খাচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, মাংস ব্যবসায়ীরা কখনো কখনো বকনা গরু জবাই করে তা এঁড়ে গরুর মাংস বলে চড়া দামে বিক্রি করে থাকে। খাশির মাংস বিক্রিতেও এমন কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এভাবে মাংস ক্রেতাদের প্রায়ই তাদের কাছে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে। আবার অনেক সময় অসাধু মাংস ব্যবসায়ীরা ভোর রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে রোগাক্রান্ত গরু-ছাগল জবাই করে বিক্রয় করে।
মাংস ক্রেতা আব্দুল ছাত্তার মিয়া বলেন, কিছু কসাই ভাল গোশতের সাথে খাবার অনুপোযোগী হাড়হাড্ডি ও গোশত মিশাল করে বিক্রয় করে থাকে। একথা বললে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ক্রেতাদের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে।
নুরুল আমিন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, বেশির ভাগ সময় কসাইয়েরা সুকৌশলে ৫/৭ দিন ফ্রিজে রাখা মাংস নির্বিঘ্নে বিক্রয় করেন।
তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা গেছে, স্থানীয় এসব মাংস ব্যবসায়ীরা কখনো নিজেরা পশু জবাই না করলে আশেপাশের হাট বাজার থেকে রোগাক্রান্ত জবাইকৃত পশুর মাংস কম দামে কিনে তা বেশি দামে বিক্রয় করে। এতে এলাকার মানুষজন মারাত্নক ভাবে স্বাস্থ্য ঝুকিতে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এনিয়ে কোন ভাবনা নেই।
তবে মাংস ব্যবসায়ীরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা কখনো রোগা পশু কিংবা বাসি মাংস বিক্রি করি না।
এ প্রসঙ্গে সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, কখন কোন সময় এবং কোন স্থানে এসব পশু জবাই করা হয় তা সুনিদিষ্ট ভাবে কেউ কিছু বলতে না পারায় আমরা তাৎক্ষনিক ভাবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারিনা। তবে কখনো নির্দিষ্ট ভাবে এরকম কিছু জানা গেলে তখন অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :