১৯৫৪ সালের দিকে নদীমাতৃক বাংলাদেশের পিরোজপুরের বেলুয়া নদীর উপর গড়ে ওঠে ভাসমান পণ্যবাজার।

পিরোজপুর জেলা শহর থেকে ৪৩ কিলোমিটার আর নাজিরপুর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে এ ভাসমান সবজি বাজারের অবস্থান। নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা বাজারসংলগ্ন বেলুয়া নদীতে সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার বসে এই ভাসমান হাট।
নৌকায় নৌকায় বসে শাক-সবজি, ধান, চাল, মাছ, ফল, আখ, নারকেলসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জমজমাট থাকে এই ভাসমান বাজার। স্থানীয়দের মতে, হাটের দিন কোটি টাকার শাক-সবজি বেচাকেনা হয় এখানে।

নৌকার উপস্থিতি এ বিলাঞ্চলের অধিবাসীদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে একাধিক ছোট বড় নৌকা। একারণেই বিস্তৃত হয়েছে বাজারটি।

১৯৫৪ সালের দিকে নৌকা ছাড়া যাতায়াতের কোন সুযোগ ছিল না। বাজার প্রতিষ্ঠার পর আশপাশের গ্রামের কৃষকেরা নৌকায় করে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য হাটে নিয়ে আসতেন। ক্রেতারাও কৃষিপণ্য কেনার জন্য নৌকা করেই হাটে আসতেন।

বেলুয়া নদীর এই হাটে মিলবে তরমুজ, শালগম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, বেগুন, মরিচ, আলু, মিষ্টি কুমড়া, শিম, লাউ, করল্লা, কচুসহ নানা জাতের শাকসবজি। এসব কৃষিজ পণ্য লঞ্চে করে পৌঁছে যাচ্ছে সারাদেশে। সবজি ছাড়াও পাওয়া যাবে ফুলের চারা, ধান, চাল, মুড়ি ও নারকেল। এছাড়াও পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের মাছ ও মাছ ধরার সরঞ্জাম।
একুশে সংবাদ/ এসএডি