নওগাঁর মান্দায় মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের (৪৫) বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও অবৈধ সম্পর্কের মাধ্যমে একাধিক ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে।
প্রধান শিক্ষক উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজী গোবিন্দপুর গ্রামের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আফসার আলীর ছেলে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হওয়ায় এসব বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। এসব বিষয় নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে ক্ষমতার অপব্যাবহার ও দাম্ভিকতা দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেন তিনি। ছেলে প্রধান শিক্ষক এবং বাবা আজীবনের জন্য সভাপতি হওয়ার কারণে একক আধিপত্য বিস্তার করে চলেছেন। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে তার মত একজন বিতর্কিত শিক্ষককে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত না করার জন্য মান্দার সচেতন শিক্ষক সমাজের পক্ষে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ মোঃ আসলাম আলী নামে একজন ব্যাক্তি। অথচ সে অভিযোগটি আমলে নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে করে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি চক্রান্তকারী মহল তার প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এসবের কোন সত্যতা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আফসার আলী বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৮ সালে স্থাপিত। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং শিক্ষার গুণগত মানও ভালো। কিন্ত রাজনৈতিক কারণে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। বিষয়টি জানার পর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে একটি জরুরি মিটিং করার কথা জানিয়েছেন।
কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওফেল আলী মন্ডল বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। তবে কতদূর সত্য তা জানা নেই।
মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম সেখ বলেন, প্রতিবছর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই অন্তে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত করা হয়। এবারে যারা আবেদন করেছিলেন তাদের মধ্যে যাচাই-বাছাই অন্তে তাকে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে পূনরায় একছাত্রী বিয়ের আগেই ৪ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা এবং তাকে বিয়ে করার বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগের সত্যতা পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, বিষয়টি অবগত নয়। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/ঢা.পো/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :