নওগাঁর মান্দায় অভিনব কায়দায় রাতের আঁধারে দুইটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা যোগাযোগের জন্য একটি চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে যান। ওই মোবাইল নম্বরে বিকাশে অথবা নগদে মিটার প্রতি ১০ হাজার টাকা পাঠালে মিটার ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে চিরকুটের নাম্বারটি সাংবাদিকদের দিলে কিংবা থানায় কোন অভিযোগ করলে মিটার ফেরত দেওয়া হবে না। নতুন মিটার লাগানো হলে তা পুড়িয়ে দেওয়া হবে মর্মে হুমকি প্রদান করা হয়। গত শনিবার (১১ মে) রাতে উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এভাবে চুরির ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে গোবিন্দপুর গ্রামের সেকেন্দার আলী এবং আহসান প্রামানিকের চালকলের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়েছে। প্রতিটি মিটারের জায়গায় একটি চিরকুট লিখে মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী চাল কল মালিক সেকেন্দার আলী জানান, গোবিন্দপুর গ্রামে আমার চালকল থেকে রাতের আঁধারে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিচে সিগারেটের প্যাকেটের কাগজে চিরকুটে একটি মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে তারা। সকালে মিটার চুরি হয়ে যাওয়ার স্থান থেকে প্রাপ্ত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ওই মিটারের জন্য ১০ হাজার টাকা বিকাশ করলে মিটার ফেরত দেয়ার কথা জানায় তারা।
ভূক্তভোগী আহসান প্রামানিক জানান, সকালে মিল চালু করার সময় দেখতে পাই আমার বৈদ্যুতিক মিটারটি নাই। সেখানে একটি চিরকুট পাই। চিরকুটে দেওয়া নাম্বারে কথা বললে তারা প্রথমে ১০ হাজার টাকা চায়। আমি ৬হাজার টাকা দিতে রাজি হই এবং অন্য একটি নগদ নাম্বারে টাকা পাঠানোর পর তারা বলে, আপনার মিটার পার্শ্ববর্তী একটি খড়ের পালায় রাখা আছে। অনেক খোঁজাখুজির পর একটি খড়ের পালায় আমার মিটারটি পাই।
উপজেলার চকবালু গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী মুনসুর রহমান বলেন, গত ৫ মাস পূর্বে আমার রাইস মিল সহ মোট ৪/৫টি রাইস মিল থেকে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়ে যায়। তাদের রেখে যাওয়া চিরকুটের নাম্বার কয়েক দফায় মোট ৬ হাজার ৭০০ টাকা পাঠানোর পর আমার মিটারটি আমি ফেরত পাই।
পল্লী বিদ্যুৎ সতীহাট সাব জোনাল অফিসের এজিএম শামীম আহমেদ বলেন, মিটার চুরির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তবে একটি মিটার পাওয়া গেছে সেটি যাচাই-বাছাই করে স্থাপন করা হয়েছে। চুরি ঠেকানো প্রসঙ্গে আমরা বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকদের পরামর্শ প্রদান করে থাকি।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, মিটার চুরির বিষয়ে সচরাচর কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চায় না। মোবাইল নাম্বার উল্লেখ পূর্বক অভিযোগ করলে এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আটক করা হবে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :