AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না: ভূমিমন্ত্রী


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,রংপুর
০৬:২৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪
কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না: ভূমিমন্ত্রী

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, কৃষি জমি নষ্ট না করে জনসংখ্যা অনুপাতে খাদ্যের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে এক ফসলি জমি অন্য কাজে ব্যবহার করা হলেও সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এ জন্য দেশের মানুষ ও জমির মালিকদের সচেতন হতে হবে।

দেশে কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না। আর খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে তিন ফসলি, দো-ফসলি জমি অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রংপুর সফরে এসে নগরীর সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, এক শতক জমি নষ্ট করা যাবে না। যদি মানুষ জমি নষ্ট না করে জমিতে চাষ করে, তাহলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও রংপুর এ জেলা শস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, জমি আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার সকলের সহযোগিতা চায়। সুন্দর ভূমি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য যেন খাদ্য নিশ্চিত করতে পারি, সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।

ভূমি সেবায় হয়রানি বন্ধে মন্ত্রী বলেন, জরিপের ওপর নির্ভর করে খাজনা ও খতিয়ান ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভূমিসেবায় ই-নামজারি, ই-খাজনা দেওয়া চালু করা হয়েছে। কোনো গ্রাহককে অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হবে না। এছাড়া দেশের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয় জড়িত। এটিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দরকার। আমরা পর্যায়ক্রমে ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ভূমিসেবাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাব, যেন জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জানা যাবে একজন ব্যক্তির কী পরিমাণ এবং কোন খতিয়ানে কত জমি রয়েছে। ফলে জাল দলিলের সমস্যা আর হবে না।

দখল হওয়া নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় উদ্ধার সময় সাপেক্ষ ও কঠিন ব্যাপার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল জরিপ অনুযায়ী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাস জমি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির শ্রেণি বিন্যাস করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিটি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। জেলা ও মৌজা অনুযায়ী খাল-বিল ও খাস জমির তালিকা রয়েছে। সেটার মধ্যে কতটুকু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কতটুকু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, তা জেলা প্রশাসক নির্ধারণ করবে। কিন্তু দীর্ঘদিন এই ব্যবস্থা না করার কারণে এটি এমন এক পর্যায়ে চলে গেছে, যে এটি সময় সাপেক্ষে এবং কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাস জমি, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির শ্রেণি বিন্যাস করা হবে ডিজিটাল জরিপে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর মন্ডল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাসেম বিন জুম্মন, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

 

একুশে সংবাদ/কা.ক/সা.আ

Link copied!