কালবৈশাখী ঝড়ে পিরোজপুর ও পটুয়াখালীতে ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় পিরোজপুরে গাছচাপায় এক গৃহবধূ মারা গেছেন। এছাড়া পটুয়াখালীতে কিশোর ও বৃদ্ধা মারা যান। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৪৫মিনিট থেকে ৯টা ৫৫মিনিট পর্যন্ত চলে এ ঝড়।
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফলে ঝড়ের তাণ্ডবে রাতুল (১৪) নামে এক কিশোর ও সুফিয়া বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা মারা যান। রাতুল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতের কাঠি গ্রামের জহির সিকদারের ছেলে। তাকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে বজ্রপাতে সে মারা গেছে। সুফিয়া বেগম দাশপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের মৃত আহম্মেদ প্যাদার স্ত্রী। ঘরের ওপর গাছ পড়ে তিনি মারা যান।
এদিকে বাউফল পৌর শহরের থানার সামনে সালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার একটি ভবনের টিনের চালা উড়ে রাস্তায় পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া পশু হাসপাতাল রোডে গাছ ভেঙে সড়কের ওপর পড়ায় সেখানেও চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় খুঁটি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। শিলাবৃষ্টিতে তরমুজসহ রবি ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজাে বলেন, রাতুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সে মারা গেছে। তবে তার শরীরে বজ্রপাতে ঝলসানোর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে।
দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে সুফিয়া বেগম মারা যান।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বশির গাজী বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পিরোজপুর: ঝড়ে মারা যাওয়া গৃহবধূ রুবি সদর উপজেলার মরিচাল এলাকার বাসিন্দা। এ সময় তার শিশুসন্তানও গুরুতর আহত হয়।
এদিকে ঝড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পুরো জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ। গাছপালা ভেঙে পড়ে পিরোজপুরের সঙ্গে বরিশালের সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত রুবি নামের একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তিনি বলেন, মৃতের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। তবে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানানো হবে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :