তালাবদ্ধ একটি ফ্ল্যাট থেকে মো. জুনায়েদ হোসেন সিজার (২১) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে নগরীর হাজিরপুল এলাকায় একটি ভবনের চতুর্থ তলার এক বাথরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ওই ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়ারা সবাই পলাতক। পুলিশ ধারণা করছেন, ওই যুবককে খুন করে তারা পালিয়ে গেছেন। তবে কীভাবে খুন করা হয়েছে সেটি নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
জুনায়েদ হোসেন সিজার মীরসরাই উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের আবু জাফরের ছেলে। তিনি পটিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগের সাবেক ছাত্র।
এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, হাজিরপুলে জনৈক ডা. রফিকের মালিকানাধীন ভবনের চতুর্থতলার বাসার বাথরুমে লাশটি পাওয়া গেছে। লাশের শরীর ফুলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যে ফ্ল্যাট থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার হয়েছে সেটার পাশেই তাঁর বাসা। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি খুন সেটা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে জুনায়েদ তার মায়ের সঙ্গে রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে তাঁর পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পায়নি। এ অবস্থায় তাঁর মৃত্যুর খবর পেল পরিবার।
এসআই মনিরুল আরও বলেন, ‘ওই ভবনের অন্য ভাড়াটিয়ারা লাশের পচা গন্ধ পেয়ে ৯৯৯-এ কল দেয়। এরপর আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ভিকটিমের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন আমরা পাইনি। দুই দিন আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি। ঘরটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। তাকে খুন করে বাইরে থেকে কেউ তালা মেরে পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। এ নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকে অভিযানও চলছে।’
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :