AB Bank
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফসলি জমিতে পুকুর খনন, মানা হচ্ছেনা ভূমি নীতিমালা


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,সিরাজগঞ্জ
০২:০০ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪
ফসলি জমিতে পুকুর খনন, মানা হচ্ছেনা ভূমি নীতিমালা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না মেনে ফসলি জমিতে বেপরোয়াভাবে চলছে পুকুর খনন। তাড়াশ সদর ও নওগাঁ ইউনিয়নে অবাধে খনন করা হচ্ছে ৫০টির বেশি পুকুর। আরও ৬ ইউনিয়নের পরিসংখ্যানে খননের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যাবে।    

ভুক্তভোগীরা বলছেন, অবৈধ পুকুর খননের অপরাধে জমির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে অনেককে। তারপরও খনন থেমে নেই। বরং আগের তুলনায় বেড়েছে।    

তাড়াশ সদর ইউনিয়নের সোলাপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক রেজাউল করিম ও শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন বোরো মৌসুম। খেতের ধান গাছ সবুজ হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমাদের খেতের পাশে হামিদুল ইসলাম ও আমজাদ তালুকদার নামে দুই ব্যক্তি পুকুর খনন করছে। তাদের পুকুর পাড়ের মাটি পড়ছে আমাদের ধানখেতে। এতে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।

তাড়াশ থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলছেন, অবৈধ পুকুর খনন করার অপরাধে জমির মালিকদের বিরুদ্ধে ২৪টি মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে ১১টি। ডিবি বাদী হয়েছে ১টি মামলার। অন্য ১২ টি মামলার বাদী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তারা। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৪১ জনকে। এরা অধিকাংশই জমির মালিক। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন। আসামিরা জামিনে রয়েছেন।  

অপরদিকে সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও সলঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, গত মাসের আইন-শৃঙ্খলা সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তাড়াশে আর একটি পুকুরও খনন করতে দেওয়া হবে না। বরং পুকুর খননে ব্যবহৃত ভেকু মেশিন জব্দ করে আদালতে পাঠানো হবে।  এখনও পুকুর খনন চলছে জেনে তিনি তাৎক্ষণিক কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।   
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নওগাঁ ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকরা বলেন, এই ইউনিয়নে পুকুর খনন করছে টাকাওয়ালা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এখানকার ছোট পুকুরগুলো ১৫ থেকে ২০ বিঘা আয়তনের। আর বড়গুলো ৬০ থেকে ৬৫ বিঘা। আমরা তাদের অবৈধ পুকুর খননে বাঁধা দেওয়ার সাধ্য রাখি না। কিন্তু এসব পুকুর হয়ে গেলে আমাদের অল্প জমি জলাবদ্ধতার কবলে পড়বে। কোনো ফসলের আবাদ হবে না।    

শনিবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে দেখা গেছে, তাড়াশ সদর ইউনিয়নের সোলাপাড়া ও জাহাঙ্গীর গাঁতী গ্রাম এলাকার মাঠে মাঠে পুকুর খনন করা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় পুকুরগুলো খনন করা হচ্ছে নওগাঁ ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে। বেশিরভাগ পুকুরে ৩ থেকে চারটি ভেকু মেশিন দিয়ে খনন কাজ করা হচ্ছে।  

জানা গেছে, তাড়াশ থেকে খালকুলা সড়কের গাঁ ঘেঁষে ভায়াট গ্রামে পুকুর খনন করছে আলম ও আরিফ। বাঁশবাড়িয়া ও কালিদাসনিলি গ্রামের মাঝের বিলের জমিতে খনন করছে মাটিয়া মালিপাড়া গ্রামের শামিম হোসেন ও বাবু তালুকদার। মালিপাড়া গ্রামে খনন করছে আলাউদ্দীন, আলী ও আফছার। সাকুয়া দিঘী গ্রামে পুকুর খনন করছে আকিব্বর ও খাজা। মাটিয়া গ্রামের দক্ষিণ ও পশ্চিম মাঠে আফজাল হোসেন নামে আরেকজন ২টি পুকুর খনন করছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুকুর খননের ফলে তিন ফসলি জমি আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘন করে পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, অবৈধ পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। আমরা বন্ধের চেষ্টা করছি।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!