যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)’র শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মোবাইল দোকানি মোনায়েমকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিজ গ্রাম ছাতিয়ানতলা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন যবিপ্রবি’র প্রফেসর ড. ওমর ফারুক এবং একমাত্র আসামি করা হয়েছে মোনায়েমকে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, যবিপ্রবির ২০২৪–২০২৫ সেশনের ছাত্রী সাজিদা ইসলাম, মীম আক্তার, জাকিয়া সুলতানা, নুসরাত জাহান, ছন্দা ইসলাম ও ছাবেকুন নাহার মুন গত ২৪ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে ‘মোনায়েম টেলিকম’ দোকানে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস মেরামতের জন্য যান। তখন দোকানে ভিড় থাকায় শিক্ষার্থীরা নিজেরাই ডিভাইসটি খুলতে শুরু করেন। এ সময় এক ছাত্রীর হাত কেটে যায়। মোনায়েম অসৎ উদ্দেশ্যে তার হাতে স্পর্শ করেন এবং ওষুধ লাগানোর অজুহাত দেন। শিক্ষার্থী বিব্রত হয়ে হাত সরিয়ে নেন এবং সবাই দ্রুত দোকান থেকে বের হন। বের হওয়ার সময় মোনায়েম অশ্লীল কথাবার্তা বলেন। পরের দিন ২৫ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা দোকানে গেলে মোনায়েম তাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে পালিয়ে যান।
মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেন। অন্যদিকে, গ্রামবাসীরা মাইকিং করে স্থানীয়দের একত্রিত করেন। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হন। পরে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বুধবার দুপুর ২টার দিকে চুড়ামনকাটি বাজার থেকে মোনায়েমকে আটক করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

