নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলায় গলাকেটে হত্যার পর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (অ্যাডমিন) অভি রঞ্জন দেব বলেন, জেলা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক এমদাদুল হকের নেতৃত্বে একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
অভি রঞ্জন দেবের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মো. সাইফুল ইসলাম। খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশীপুর-বিশ্বাসপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে তিনি।
অভি রঞ্জন দেব জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে সাইফুলের জন্ম ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর উল্লেখ রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের সামনের ডিঙাপোতা হাওর থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন তার নাম পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
গলা কেটে হত্যার পর যুবকের মুখ পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরাগলা কেটে হত্যার পর যুবকের মুখ পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন মরদেহ উদ্ধারের পর বলেন, হাওরের জমিতে কাজের করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের বয়স ৩৩ থেকে ৩৫ বছর।
ওসি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গলাকেটে হত্যার পর পরনের কাপড় খুলে আগুন দিয়ে মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেয় হত্যাকারীরা। মূলত পরিচয় লুকানোর জন্যই হত্যাকারীরা এ কাজ করেছে।’
আপাতত ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :