মায়ের দোয়া অটো সার্ভিসিং সেন্টার নামের এক দোকানের তালা কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে ।
এসময় প্রায় ৭ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ী আঃ হেলিম মিয়ার। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আঃ হেলিম উপজেলার ঢোমবাড়ি গ্রামের আহম্মেদ আলীর ছেলে। সে জৈনা বাজার দীর্ঘদিন যাবত মায়ের দোয়া অটো সার্ভিসিং সেন্টার নামের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছে।
২৪ নভেম্বর রাক ১১ টার পর থেকে শনিবার (২৫ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার কলেজ রুটে ছিদ্দিক প্লাজার সামনে দক্ষিণ পার্শের মার্কেটে মায়ের দোয়া অটো সার্ভিসিং সেন্টার নামের এক দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আঃ হেলিম মিয়া বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জৈনা বাজার কলেজ রুটে ছিদ্দিক প্লাজার সামনে দক্ষিণ পার্শের মার্কেটে মায়ের দোয়া অটো সার্ভিসিং সেন্টার নামের এক দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন আঃ হেলিম। তার দোকান পরিচালনার দায়ীত্বে ছিলেন দোকানের কর্মচারী মো: ময়নাল, রোকন ও মিস্ত্রি তানভীর।
দোকান মালিক আঃ হেলিম জানান, তারা দায়ীত্বে থাকা অবস্থায় গত ২১ নভেম্বর আমি চরমোনাই মাহফিলে চলিয়া যাই। দোকানের কর্মচারী মো: ময়নাল, রোকন ও মিস্ত্রি তানভীর প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যায়। ২৫ নভেম্বর সকালে দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন দোকানের সবগুলো তালা ভাঙ্গা এবং দোকানে ভেতরে প্রবেশ করিয়া (আনুমানিক দাম ৭ লাখ টাকার), মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
অপর দিকে একটি বাড়ির ঘরের তালা কেটে ঘরে ঢুকে চুরি করে পালানোর সময় এক চোরকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের বড়চালা এলাকায় আব্বেছ আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত রাসেল মিয়া বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় তিনি বর্তমানে উপজেলার গড়গড়িয়া মাষ্টার বাড়িতে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। এই এলাকার বাসিন্দা আশাদুল নামে এক জনের সাথে চুরি করতে আসেন রাসেল (২৫) ভুক্তভোগী শিমুল আক্তার জাানান, তিনি জৈনা বাজার এলাকায় ব্রাক নামক একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে সকালে তিনি ডিউটিতে ছিলেন। বাড়িতে তার শাশুরী ছিলেন। তিনি দুপুর দিকে প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়ার সুযোগে বেশ কয়েকজন চোর বাড়িতে প্রবেশ করে দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে স্বর্ণের হার, হাতের বালা, কানের দুলসহ স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি করে। কিছুক্ষণ পর শাশুরী বাড়িতে এসে বাড়ির ভিতরে দুই চোরকে দেখতে পেলে চোর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন চোরদের ধাওয়া করে ওই একজনকে আটক করে। এসময় আরও দুই চোর পালিয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুটি ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে এবং ঘটনাটিকে অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে আমরা দেখছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :