AB Bank
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

উজিরপুরে চালুর আগেই অচল ৫ কোটি টাকার বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন


Ekushey Sangbad
উজিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি, বরিশাল
০২:১১ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০২৩
উজিরপুরে চালুর আগেই অচল ৫ কোটি টাকার বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন

শিক্ষক ও কর্মচারীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিত করতে বরিশালের উজিরপুরে ১৮১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেনা হয় মেশিন। ৪ বছর পার হলেও হাজিরা মেশিনগুলোয় দেওয়া হয়নি কোনো সফটওয়্যার। দীর্ঘদিন অলস পড়ে থাকায় ইতিমধ্যে অনেক মেশিন নষ্ট হয়েছে। কোনোটির শুধু আলো জ্বলে কিন্তু আঙ্গলের ছাপ নেয় না। বাকিগুলোও অচল হওয়ার পথে। ফলে জলে গেছে সরকারের ৫ কোটি ৩১ লাখ ২ হাজার ৩৫০ টাকা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তদারকির অভাবে ডিজিটাল হাজিরা মেশিনের কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না শিক্ষকরা। এ ছাড়া এসব মেশিন কেনা নিয়েও রয়েছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।

 

শিক্ষা অফিস সূত্র জানা যায়, সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা সিস্টেম চালুর  সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়।   ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন-সংস্কার (স্লিপ ফান্ড) তহবিল থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কিনতে বলা হয়েছিল। তবে মেশিন কেনা হলেও দীর্ঘ সময়ে চালু করা যায়নি সেগুলো।

 

জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিজের পছন্দের কোম্পানি থেকে নিম্নমানের বায়োমেট্রিক মেশিন কিনতে বাধ্য করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

সরেজমিনে  গত বুধবার গিয়ে দেখা যায়, ইচলাদি,রাখালতলা, পূর্ব জয়শ্রী, মুন্ডু পাশা, কাল বিলা, বিল গাব বাড়ি,মধ্য সাতলা, নাথার কান্দি,ও জল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়,। প্রতিটি বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন অকেজো। বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ইন্টারনেট কানেকশন থাকার কথা কিন্তু কোথাও তা দেখা যায়নি।  

 

নাম না জানানো সত্ত্বে এক শিক্ষক নেতা  জানান,  বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ড থেকে চেকের মাধ্যমে মেশিন কেনার টাকা কোম্পানিকে পরিশোধ করেন। প্রতিটি মেশিন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা মূল্যে কেনা হয়। যদিও বাজারে এ মেশিনের দাম ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। নিয়ম রয়েছে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাজার যাচাই করে নিজেদের পছন্দমতো সাশ্রয়ী মূল্যে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কিনে বিদ্যালয়ে স্থাপন করবে। নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে মেশিন ক্রয়ের বাধ্যবাধকতা নেই। নির্দেশনা উপেক্ষা করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কেনা এসব মেশিন কিছুসংখ্যক বিদ্যালয়ে চালু হলেও কিছুদিনের মধ্যে তা অকেজো হয়ে পড়ে।


শিক্ষকদের ভাষ্য, স্থানীয় সংসদ ও শিক্ষা অফিস থেকে চাপ প্রয়োগ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁদের হাজিরা মেশিন কিনতে বলা হয়েছিল। তখন তাঁরা বাজারমূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ দামে কিনতে বাধ্য হয়েছিলেন। শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে নির্ধারিত কোম্পানি ও চক্রের কাছ থেকে মেশিন কেনায় বাজার যাচাইয়ের সুযোগ পাননি তাঁরা।

 

খোলনা শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার মৃধা বলেন, স্থানীয় এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে একটি প্রতিষ্ঠান বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন স্থাপন করে গেছে। আমার স্কুলে ৭ থেকে ১২ হাজার  টাকার মেশিন ৩০ হাজার টাকা দিতে অপারগত জানালে অন্যত্র বদলি সহ নানা হুমকি দেওয়ায় টাকা দিতে বাধ্য হই।সেই নিম্নমানের মেশিন এখন অচল হয়ে আলমারিতে পড়ে আছে।

 

পূর্ব জয়শ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক মৃধা অভিযোগ করেন,স্থানীয়  সংসদ সদস্য শাহে আলম তালুকদার মনোনীত কোম্পানি থেকে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয় না করলে তিনি ম্যানেজিং কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায অনুমোদন দিতেন না ।

 

তৎকালীন শিক্ষা কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম বলেন, মেশিনটি পরিচালনার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নাই। এছাড়া করোণাকালীন সময়ে অনেক মেশিন ব্যবহার করা হয়নি। তাই কিছু নষ্ট হতে পারে। তবে সেগুলো আবার সচল করে ব্যবহার করা হবে।

 

উজিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, আমি সদ্য উজিরপুর এসেছি। এ বিষয়ে কিছুই জানি না।

 

একুশে সংবাদ/স.টি/না.স

Link copied!