তিনি আগে থেকেই মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত। কুমিল্লা শহরের এই ছাত্রলীগের নেতার নাম মেহেদী হাসান (২৮)। শুক্রবার রাতে কুমিল্লা নগরীর শ্রী বল্লভপুর এলাকা থেকে ইয়াবা ও গাঁজাসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
তার কাছ থেকে পুলিশ ৬২০০ পিস ইয়াবা এবং গাঁজা উদ্ধার করে। এই অভিযোগে দলীয় পদ হারান কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের ২২ নম্বর ওয়ার্ড শাখার এই যুগ্ম আহ্বায়ক।
মেহেদী হাসানের বাড়ি শ্রী বল্লভপুর এলাকায়। দাপুটে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের পর থেকে দলীয় নেতারা তাকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা-তদবির করে ব্যর্থ হন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘গ্রেপ্তার মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতির প্রস্তুতি, চুরি, ছিনতাই ও মাদকসহ সাতটি মামলা রয়েছে। শনিবার তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করার পর আদালতের মাধ্যমে শনিবার বিকেলে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এদিকে মেহেদী কারাগারে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার রাতে মহানগর ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসে।
রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবদুল আজিজ সিহানু স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সংগঠন পরিপন্থী ও অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ মেহেদীকে যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।’
শ্রী বল্লভপুর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ৫ নভেম্বর কুমিল্লা নগরীতে প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজির ঘটনায় জড়িত ছিলেন মেহেদী হাসান। এ সময় তার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা