গাইবান্ধায় ট্রাকচাপায় ট্রাফিক পুলিশ নিহতের ঘটনায় ট্রাক মালিকসহ চালক ও সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামাল হোসেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ট্রাক চালক রংপুরের মাহিগঞ্জ থানার সঙ্গীর টারী গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে জামাল মিয়া (৩৫), সহযোগী একই এলাকার ক্ষুদ্র রংপুর গ্রামের আজিজ মিয়ার ছেলে মশিউর রহমান (২৯) ও ট্রাক মালিক জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আনিছুর রহমান (৪৪)।
পুলিশ সুপার জানান, ঘাতক ট্রাকটির মালিক আনিছুর রহমান নিজেই উক্ত ট্রাক চালক হওয়া সত্ত্বেও বদলী হিসেবে একজন অপেশাদার, অদক্ষ, লাইসেন্স বিহীন মোঃ জামাল মিয়া সেদিন ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন। জামাল রংপুর হতে আলু লোড করে ২৪ আগস্ট ভোরে আলু বোঝাই ট্রাকটি জেলার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাটে আনলোড করেন। পরে সকাল ৬ টার দিকে খালি ট্রাক নিয়ে পূণরায় রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে গাইবান্ধা জিরো পয়েন্টে পুলিশ ক্যাফের সামনে গোল চত্ত্বরের নিয়ম না মেনে ভুল পথে বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে চালিয়ে যাওয়ার সময় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বিপ্লব প্রামানিককে তার ডিউটিতে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় চাপা দিলে ট্রাকটির চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তখন ঘাতক ট্রাকটি দ্রুত গতিতে পুরাতন ব্রীজ দিয়ে সুন্দরগঞ্জ অভিমুখে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রাথমিকভাবে ট্রাকটি সনাক্ত করা হয় এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের ও ঘাতক ট্রাকটি সনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে পরদিন রংপুর মহনগরের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে ঘাতক ট্রাকের ড্রাইভার জামাল মিয়া, সহযোগী মশিউর রহমান ও ট্রাক মালিক আনিছুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে তারা কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে চাপা দিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের স্বীকারোক্তিতে ঘাতক ট্রাকটি রংপুরের মাহিগঞ্জ থানার বীরভূদ বালাটারী গ্রামের একটি গ্যারেজে থেকে উদ্ধার করা হয়। তারা ট্রাকটির রং পরিবর্তন করার জন্য ওই গ্যারেজে নেয় বলে জানান পুলিশ সুপার।
একুশে সংবাদ/ম.স.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :