অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুসের প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম বলেছেন, “ভারতের গণমাধ্যমগুলোর কোনো মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড নেই। ওরা কে কত জোরে কথা বলতে পারে, সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। তারা নাটক তৈরি করে, মানুষকে তথ্য দেয় না।”
শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে কেশবপুরের পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “সম্প্রতি বাংলাদেশের ছয়টি টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেল ভারতে ব্লক করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এ বিষয়ে পাল্টা কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন মনে করছে না।”
ভারতীয় গণমাধ্যম সম্পর্কে তিনি বলেন, “এরা অতীতে বাংলাদেশের পতিত স্বৈরাচারের সমর্থক ছিল।”
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম জানান, “সরকার ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তবে কেউ তাকে দেশত্যাগে সহায়তা করে থাকলে, তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। ইতোমধ্যে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং কমিটির সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. হোসাইন আল মামুন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন, যশোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন কুমার ব্রহ্ম এবং প্রকৌশলী উত্তম কুমার কর প্রমুখ।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। আলোচনা সভার আগে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের সাবলীল জবাব দেন প্রধান অতিথি। পরে তিনি পরিবারসহ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি সাগরদাড়িতে মধুপল্লী পরিদর্শনে যান।
একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে