সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের দলের গাও মুতিরপয়েন্ট থেকে লামাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এবং উল্টো দিকে দলেরগাও মুতিরপয়েন্ট থেকে বাতলারটেগ হয়ে পর্মেশরীফপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া পর্যন্ত চলাচলের প্রায় এক কিলোমিটার প্রধান সড়ককে ব্যবহার করা হচ্ছে পুকুরের পাড় হিসেবে।
এই রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পথচারীরা আসা-যাওয়া করছে। শুরুর দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে পারলেও এখন মোটরসাইকেল চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে,মেরামত না হওয়ায় পুরো সড়কটির অনেকাংশ এখন পুকুরে বিলীন হওয়ার পথে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সদর ইউনিয়নের দলেরগাও মুতিরপয়েন্ট থেকে লামাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত সড়ক দিয়ে মানিকপুর, বাস্তবের গাও,সানিয়া,নালিয়াবাজার ও উল্টো দিকে মুতির পয়েন্ট থেকে পর্মেশরিফপুর পশ্চিম পাড়া পর্যন্ত সড়ক দিয়ে বীরসিং,রাখালকান্দি,বাতলারটেগ,দলেরগাঁওসহ আশপাশের প্রায় ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি।
সিবিআরএমপির ব্লকের সড়কজুড়ে ভাঙন, খানাখন্দ। সড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে পুকুরপাড় হিসেবে। মাটি দিয়ে পুকুরপাড় ভরাট না করে উল্টো পুকুরমালিকেরা সড়কের অনেক জায়গায় দায়সারাভাবে পুকুরের ভেতর জাল দিয়ে ঘেরাও করে রেখেছেন। সড়কের ব্লক ভেঙে বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে আছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, সড়কের আশপাশের পুকুরমালিকেরা পুকুরপাড় সময়মতো মাটি দিয়ে ভরাট করেন না। উল্টো তাঁরা সড়ককেই পুকুরপাড় হিসেবে ব্যবহার করছেন। ফলে ভাঙতে ভাঙতে সড়কের দুপাশের অংশ পুকুরে অনেকটা বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে পুরো রাস্তাই পুকুরের পেটে চলে যাবে।
দোয়ারাবাজার সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ বলেন বলেন, সড়কটি দ্রুত মেরামত করা হবে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ মোর্শেদ মিশু জৈন্তা বার্তা`কে বলেন ‘এ বিষয়ে স্থানীয় পুকুরের মালিক ও মাছচাষিদের সঙ্গে আলাপ করে মৌখিক ভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যদি তারা না মানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/স ক



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

