AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শ্রীমঙ্গলে দীর্ঘ খরার পর বৃষ্টি


শ্রীমঙ্গলে দীর্ঘ খরার পর বৃষ্টি

চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে টানা দীর্ঘদিন তীব্র খরার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে দেখা মিললো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির। পরিমাণে এ বৃষ্টিপাত অল্প হলেও জনমনে কিছুটা হলে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এরপর শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে টানা কয়েক ঘন্টা এবং আজ শনিবার বেলা বারোটা থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধা সাড়ে ৬টা) একটানা বৃষ্টি ঝরছে। টানা দু’দিনের বৃষ্টিপাতের ফলে প্রাকৃতিক রুক্ষতা দূর হয়ে গাছ-গাছালিতে সবুজ প্রাণ ফিরে এসেছে, বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল উপজেলার চা বাগানগুলোতে।

 

শনিবার (১০ জুন) শ্রীমঙ্গল উপজেলার এমআরখান চা বাগানে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘ খরার পর স্বস্তির বৃষ্টি পেয়ে শুষ্ক চা বাগানে এখন অনেকটা সবুজের সমারোহ। বৃষ্টিধারা গায়ে মেখে চা বাগানের পুরো সেকশনে চোখ মেলেছে দু’টি পাতা একটি কুঁড়িরা। এই প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাত চা বাগানের জন্য অনেক উপকারি বলে জানিয়েছেন চা বাগান সংশ্লিষ্টরা।

 

চা বাগানের মালিকরা বলেন, দীর্ঘ খরার পর এই বৃষ্টি যেন ‘আশীর্বাদ’ হিসেবেই এসেছে। চা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কয়েক মাসে তীব্র খরা এবং নানা রোগের কারণে চা উৎপাদন মারাত্মক হ্রাস পেয়েছিলো।  মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে লাল মাকড়সার আক্রমণসহ পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। সব মিলিয়ে মৌসুমের শুরুতে অর্ধেকের কম উৎপাদন হচ্ছে চা বাগানে।

 

বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট এর পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ও অধিক তাপমাত্রার কারণে বাগানে নতুন পাতা না আসায় উৎপাদন কমে গিয়েছিল। নতুন কুঁড়ি না আসা, পানির সংকট, লাল মাকড়সার আক্রমণ এখন প্রায় সব চা বাগানেই বিদ্যমান ছিল।

 

তীব্র খরার কারণে চা বাগান কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন চা বাগানের ইরিগেশন (সেচ) দিয়েও চা গাছগুলোকে শতভাগ রক্ষা করতে পারছিলেন না।  প্রচন্ড দাবদাহের পর টানা বৃষ্টি চা শিল্পের জন্য সুফল বয়ে এনেছে। এই বৃষ্টিপাতের ফলে চা গাছগুলো তার আপন সজিবতা ফিরে পেয়েছে। এখন চা গাছে দ্রুত নতুন কুঁড়ি আসবে। প্লাকিং শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার ওপরে চা উৎপাদন হবে।

 

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গত মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর চলতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক বিভলু চন্দ্র দাস বলেন, শ্রীমঙ্গলসহ চা শিল্পাঞ্চলে গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ২ মিলিমিটার, শুক্রবার (৯ জুন) ৫৭.০২ মিলিমিটার এবং আজ শনিবার (১০ জুন) বিকেল ৬টায় ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে এ  রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি চলমান রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত মাসে এবং চলতি মাসে প্রচণ্ড খরা হয়েছে। খরার পর এই প্রথম টানা বৃষ্টিপাত শুরু হলো।

 

একুশে সংবাদ/এ.ম.প্র/জাহা

Link copied!