AB Bank
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সদ্য মারা যাওয়া বিরল টিকওক গাছের নমুনা সংগ্রহ


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,মৌলভিবাজার
০৬:৩৫ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
সদ্য মারা যাওয়া বিরল টিকওক গাছের নমুনা সংগ্রহ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে সদ্য মরে যাওয়া আফ্রিকান টিকওক গাছটির নমুনা সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা।

 

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনভর তাঁরা গাছটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এর নমুনা সংগ্রহ করেন।

 

গবেষক দলে ছিলেন বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের বনরক্ষণ বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান ও মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা আবদুল রাশেদ মোল্লা।

 

এর আগে গোড়ায় পচন ধরে গত সপ্তাহে গাছটি মারা যায়। লাউয়াছড়ার ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে বিরল ওই গাছ উদ্যানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল।

 

গবেষণা কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বলেন, উদ্যানে থাকা একমাত্র আফ্রিকান টিকওকগাছটির মারা যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক নির্দেশনায় তাঁরা গাছটি কী কারণে মারা গেছে, তা জানতে ও নমুনা সংগ্রহের জন্য আসেন। গাছটি মারা যাওয়ার কারণ কোনো রোগ, পোকা, মাইক্রো–অর্গানিজম বা মৃত্তিকাজনিত কোনো সমস্যা হতে পারে। তাঁরা গাছটির গোড়ার মাটি, মাটির নিচের অংশের মরা শিকড়, কাণ্ডের ওপরের অংশের মরা ছালবাকল বিভিন্ন উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। এগুলো তাঁদের প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাগারে বিশ্লেষণ করা হবে।

 

গবেষক দলের সঙ্গে আসা মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা বলেন, আফ্রিকান টিকওক দেশের বিরল প্রজাতির একটি গাছ। গাছের জীবন রয়েছে। তার আয়ুষ্কালের বিষয়ও রয়েছে। এমনও তো হতে পারে, গাছটির আয়ু ফুরিয়ে গেছে। গাছটির নিচের খাবার সংগ্রহের রুটগুলো পচে গেছে, নিচের অংশের মাটি খুঁড়ে তাই তাঁরা দেখেছেন। এ জন্য গাছটি খাবার সংগ্রহ করতে পারছে না।

 

বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক রফিকুল হায়দার বলেন, এই গাছের গোড়ায় বছরখানেক আগে মাটি দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, মাটির সঙ্গে আসা কোনো জীবাণুর কারণে গাছটি মারা গেছে।

 

তিনি আরও বলেন, তাঁরা গত বছর ও এ বছরে গাছটি থেকে নমুনা নিয়ে গিয়েছিলেন। এগুলো তাঁদের কাছে সংরক্ষিত আছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন টিস্যু কালচার ও অন্য মাধ্যমে গাছের বংশবৃদ্ধির। যদি ১০টি চারাও বেড়ে ওঠে, তাহলে একটি বিদেশি গাছ হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে।

 

একুশে সংবাদ/এ.বি.মু/ এসএপি/

Link copied!