AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন

নিরাপত্তায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪৫০০ সদস্য


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮:১০ পিএম, ৪ জানুয়ারি, ২০২২

নিরাপত্তায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪৫০০ সদস্য

ছবি: সংগৃহীত

আসাদ আল মাহমুদ:

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪৫০০  সদস্য। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনী থেকে এসব সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।

এছাড়া আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন দেখভালে ২৭ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। নির্বাচনি অপরাধ হলে সেগুলোর সংক্ষিপ্ত বিচারের (সামারি ট্রায়াল) জন্য থাকবেন ১৪ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া ভোটগ্রহণের নিরাপত্তায় নির্বাচনি এলাকায় আগামী ১৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ থাকবে। ওই সময়ে কয়েক ধরনের যানবাহনের ওপর বিধি-নিষেধও আরোপ করতে যাচ্ছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন। এখনো বড় ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটেনি। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রচারণায় তুমুল প্রতিযোগিতা চলছে। শেষ অবধি তা প্রতিযোগিতা থেকে প্রতিহিংসায় রূপ নেওয়ার শঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, পরিস্থিতি অবনতি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সূত্র আরও জানায়, সাধারণ ২৭টি ওয়ার্ডের অন্তত ১৪টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন সময়ে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন ব্যক্তিরা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সমর্থক কাউন্সিলর প্রার্থীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন। তাদের কারণেও মাঠ উত্তপ্ত হতে পারে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন। আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা তা দেখভাল করা হচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে রয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাহিদা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  সাতজন মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডে ৩৪ নারী কাউন্সিলর এবং ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এ সিটিতে ভোট নেওয়া হবে।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন সংক্রান্ত পরিপত্র সোমবার জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে কোন বাহিনী কী ধরনের দায়িত্ব পালন করবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। পরিপত্রে এ সিটি নির্বাচনে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিজিবির প্রায় সাড়ে চার হাজার সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের ১৫ জন করে সদস্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন করে সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৯২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব ভোটকেন্দ্রের মধ্যে কতটি ঝুঁকিপূর্ণ তা নির্ধারণের কাজ চলছে। এ হিসাবে ভোটকেন্দ্রের পাহারায় থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন হাজার সদস্য।

ভোটকেন্দ্রের বাইরের এলাকার নিরাপত্তায় থাকবেন পুলিশ, এপিবিএন, আনসার, বিজিবি ও র্যাব। প্রতি দুই ওয়ার্ডে একটি করে বিজিবির ১৪ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হবে। সেই হিসাবে এ বাহিনীর প্রায় সাড়ে চারশ সদস্য থাকবেন। পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মোট ২৭টি র্যাবের টিম দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের সংখ্যা প্রায় তিনশ জন। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের ২৭টি মোবাইল, ৯টি স্ট্রাইকিং ও ৪টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্সও থাকবে। তাদের সদস্য সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। তবে পরিপত্রে পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সংখ্যার বাইরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের সুযোগ রাখা হয়েছে।

আরও জানা গেছে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আচরণ বিধি দেখভালে নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। আগামী ১৪ জানুযারি থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৭ জন করা হবে। ওই সময়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ১৪ জন। তারা ভোটের পরও দুদিন মাঠে থাকবেন। এছাড়া আগামী ১৪ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ১৮ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় সব বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ থাকবে। নির্বাচনি প্রচার শেষ হবে ১৪ জানুয়ারি রাত ১২টায়। ওই সময়ের পর যাতে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ না হয় সেজন্য পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে।

একজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, কয়েকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের কার্যক্রম নিয়ে নির্বাচন পরিচালনাকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। ওই প্রার্থীরা প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হতে পারেন। তাদেরকে মনিটরিংয়ে রাখা হচ্ছে।
 

একুশে সংবাদ/আ.ম/এনএস

Link copied!