AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গরম সবজির বাজার, পেঁয়াজ-ডিমও বাড়তির তালিকায়


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১:৩২ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

গরম সবজির বাজার, পেঁয়াজ-ডিমও বাড়তির তালিকায়

রাজধানীর বাজারে সবজির দাম বেড়ে ক্রেতাদের জন্য নতুন করে চাপ তৈরি করেছে। শীতকালীন সবজির মৌসুম শেষ হয়ে আসায় এবং গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ শুরু হওয়ায় অধিকাংশ সবজির দাম এখন কেজিপ্রতি ৭০ টাকার ওপরে। পাশাপাশি বাড়তির তালিকায় রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ ও ডিম।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও নাখালপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢ্যাঁড়শ, পটোল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, উচ্ছে ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। বরবটি ও কাঁকরোল কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং শজিনার দাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। কাঁচামরিচ ৭০ থেকে ১০০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

সবজির পাশাপাশি, পেঁয়াজের বাজারেও বাড়তি চাপ পড়েছে। এক সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে এখন খুচরা পর্যায়ে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়, আর হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫২ টাকায়।

ডিমের বাজারেও দেখা দিয়েছে ঊর্ধ্বগতি। রোজার সময়ে দাম কমলেও এখন ফার্মের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন সবজির উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলক বেশি এবং মৌসুমের শুরুতে সরবরাহও কম থাকে। অন্যদিকে, শীতকালীন সবজির দর কম থাকায় কৃষকদের লোকসান গুণতে হয়েছে, ফলে এখন দাম কিছুটা বেশি রাখা হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা কামাল আহমেদ বলেন, "এবার শীতের সবজির দাম কম থাকায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন উৎপাদন খরচ ও বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় দাম একটু বাড়তি।"

ক্রেতারা বলছেন, রোজার সময় বাজার কিছুটা সহনীয় থাকলেও ঈদের পর থেকেই দাম বেড়েছে। তারা বাজার মনিটরিং জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

মুরগির দামের ক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে বোতলজাত ভোজ্যতেলের সরবরাহে এখনও ঘাটতি রয়েছে। পাঁচ লিটারের বোতলের জোগান কম থাকলেও খোলা সয়াবিন ও পামওয়েলের সরবরাহে আপাতত কোনো সংকট দেখা যায়নি।

 

একুশে সংবাদ// আ.ট//এ.জে

Shwapno
Link copied!