‘রেডিওথেরাপি’ যা ক্যান্সার চিকিৎসায় অত্যন্ত জরুরি। রেডিওথেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। সময়মতো থেরাপি না নিলে ক্যান্সার শরীরে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা থাকে। কিন্তু জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ৬টি থেরাপি মেশিনের ৫টিই নষ্ট, ফলে তিন মাসেও রোগীদের রেডিওথেরাপির সিরিয়াল মিলছে না।
সোমবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের রেডিওথেরাপি কক্ষের সামনে রোগীদের ভিড় দেখা গেছে।
মাগুরা থেকে স্ত্রীকে রেডিওথেরাপি দিতে নিয়ে এসেছেন রফিক আজাদ। তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর শরীর বেশ কিছুদিন খুব খারাপ। দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ঘুরছি। বেসরকারি হাসপাতালে থেরাপি নেওয়ার সক্ষমতা নেই আমাদের। সেই সঙ্গে ঢাকা শহরে থাকার মতো অবস্থাও নেই। আগামীকাল থেরাপি না নিয়েই বাড়ি ফিরতে হবে মনে হচ্ছে।
চিকিৎসা নিতে আসা আরেক রোগী বলেন, গত সপ্তাহে দুই দিন থেরাপি দিয়েছি, বাকি ৫ দিন দিতে পারিনি। এই সপ্তাহের শুরুর দিনেই দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের রেডিওথেরাপি মেশিন সংকট। দুটি মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত হলেও এক বছরে কেনার প্রক্রিয়ায় শেষ হয়নি। বর্তমানে সেবাপ্রত্যাশী ছয় শতাধিক রোগী। মেশিন নষ্ট হওয়ায় দিনে সর্বোচ্চ একশো জনকে রেডিওথেরাপি দিতে পারছে প্রতিষ্ঠানটি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালটিতে কমপক্ষে ৭টি রেডিওথেরাপি মেশিন দরকার।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক নিজামুল হক বলেন, রেডিওথেরাপির মেশিনগুলো ব্যয়বহুল। একেকটা মেশিনের দাম ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা হলেও সরকার এগুলোর ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। মেশিন কেনার প্রক্রিয়া আছে। বললেই তো রাতারাতি এ সংকট পূরণ হবে না।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :