জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাৎসরিক ছুটির ক্যালেন্ডারে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে নবমী ও দশমী মিলিয়ে মাত্র দুই দিনের ছুটি রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দেশের অন্যতম বড় সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসবের সময় এতো স্বল্প ছুটি দেওয়ায় তারা ভোগান্তিতে পড়বেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, দুর্গোৎসবের মূল দিনগুলোতে পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ সীমিত হয়ে যাবে। রাজধানীর বাইরে যারা থাকেন, তাদের জন্য মাত্র দুই দিনের ছুটি যথেষ্ট নয়।
এবিষয়ে জবি শিক্ষার্থী পিউস সাহা জানান, “শারদীয় উৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে সারাবছর আমাদের মধ্যে আলাদা একটা আকাঙ্ক্ষা থাকে। এমতাবস্থায় মাত্র দুদিনের (নবমী এবং দশমী) ছুটি মেনে নেওয়া কষ্টকর। অষ্টমীর দিন সকালে উপবাস রেখে পরিবারের সাথে অঞ্জলি দেওয়ার প্রথা রয়েছে। এছাড়াও আনুষ্ঠানিকতা ষষ্ঠী থেকেই শুরু হয়ে যায়, সেখানে নবমী থেকে বন্ধ দেয়াটা অযৌক্তিক। বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশে জবি প্রশাসনের নিকট ছুটির বিষয়টা পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ থাকবে।”
জবি শিক্ষার্থী আকাশ দাশ বলেন, “আমরা অনেক শিক্ষার্থী গ্রাম বা দূরবর্তী এলাকায় পরিবারের কাছে যাই। কম ছুটি থাকলে যাতায়াতের জন্যই অধিকাংশ সময় নষ্ট হয়ে যায়। আমরা শুধু বড় কোন উৎসবে বাড়িতে যাই তবে সেখানেও যদি পূজার বন্ধ কম থাকে তাহলে আমাদের পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সময়টা কমে যায়। সব উৎসবে সমান মর্যাদা চাই—পূজাতেও পূর্ণ ছুটি চাই আমরা।”
তবে এবিষয়ে এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নোটিশ প্রকাশের আগেই শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষায় জবির সনাতন ধর্মালম্বী শিক্ষার্থীরা।
একুশে সংবাদ/এ.জে