পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (পবিপ্রবিসাস) তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। সোমবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচার মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হয় এ দিবসটি।
কর্মসূচির শুরুতে ছিল বর্ণাঢ্য র্যালি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে কৃষি অনুষদের সামনে এসে শেষ হয় র্যালিটি। পরে কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয় কেক কাটা ও আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মারসিফুল আলম রিমন। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ মুহসিন তানজিম।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সাংবাদিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, "তোমাদের বয়সে আমার এতটা সাহস ছিল না। তোমাদের যেই দৃঢ়তা, সত্য বলার সাহস, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সাংবাদিকতায় এমন সাহসিকতাই একটি সুন্দর সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখে।"
তিনি আরও বলেন, “জুলাই আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ আমরা ভুলে যেতে পারি না। সাংবাদিকতার আদর্শ ধারণ করে তোমরা যেন সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকো—এটাই আমার প্রত্যাশা।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম হেমায়েত জাহান বলেন, “মানুষ মাত্রই ভুল করে। যদি আমরা কোনো ভুল করি, তা ধরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তোমাদের—সাংবাদিকদের। তোমাদের গঠনমূলক সমালোচনাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল লতিফ বলেন, “স্রোতের সঙ্গে চলা সহজ, কিন্তু স্রোতের বিপরীতে চলাতেই রয়েছে সত্যিকারের সাহস। সাংবাদিকতা যদি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে হয়, তবে তা সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।”
আলোচনায় অংশ নিয়ে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মারসিফুল আলম রিমন বলেন, “সাংবাদিক সমিতি কখনো লাল গালিচার পথ বেছে নেয়নি, বরং হেঁটেছে কণ্টকাকীর্ণ পথে। অনেক বাধা–বিপত্তি অতিক্রম করে আজকের এই অবস্থানে এসে পৌঁছেছে পবিপ্রবিসাস।”
তিনি আরও বলেন, “এই আয়োজনে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ঘাম ঝরিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের দায়িত্ব শুধু সংবাদ প্রকাশ নয়, বরং সত্য ও দায়িত্বের প্রশ্নে আপসহীন থাকা।”
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী এই আয়োজনে ছিল স্মৃতিচারণ, কেক কাটা, শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলাপচারিতা। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিক্ষক ও অতিথিরা সমিতির কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন এবং সাংবাদিকতার চর্চাকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
একুশে সংবাদ/এ.জে