বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে প্রদর্শনী, শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতি চর্চা, আর্ট এবং ক্রাফ্ট প্রতিভাকে বিকশিত করার আগ্রহ ও সুযোগ তৈরির উদ্দেশ্যেই Aesthetic BAU বা, “অ্যাস্থেটিক বাউ” আয়োজন করছে “মুহূর্তের মায়াজাল”। বাকৃবিয়ানরা তাদের সৃজনশীলতা ও শিল্পমনা রঙ-তুলি ও মুঠোফোন দিয়ে ফুটিয়ে তুলবেন “অ্যাস্থেটিক বাউ” এর ক্যানভাসে।
সোমবার (১৯ মে) আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক আল জুবায়ের ইমন বলেন, আয়োজনটি বাকৃবির সকল শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত। আগামী ২৩ মে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আমতলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হবে। বাকৃবি শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে তোলা ছবি এবং আর্ট ও ক্রাফ্ট এক্সিবিশন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে যেখানে সেরা ৩টি মুঠোফোন ছবি, সেরা ৩টি আর্ট নির্বাচন করা হবে। তবে নির্বাচিত সকল ছবির ছবিয়ালকে এবং ক্রাফ্ট এক্সিবিশনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।
মুঠোফোনে তোলা ছবি জমা দেয়ার নিয়ম সম্পর্কে ইমন বলেন, ছবি অবশ্যই বাকৃবি কেন্দ্রিক ও নিজের তোলা হতে হবে। প্রত্যেকটি ছবি দেখেই যেন বোঝা যায় স্থানটি বাকৃবি। ছবিতে অতিরিক্ত এডিট, এআই অথবা ম্যানুপুলেশন গ্রহণযোগ্য নয়। ছবির অরিজিনাল ফাইল ছবিয়ালের কাছে সংরক্ষিত থাকতে হবে। ছবি সাবমিশন সম্পূর্ণ ফ্রি। একজন সর্বোচ্চ ২টি ছবি সাবমিশন করতে পারবেন। [email protected] এই ইমেইলে নাম ফোন নাম্বারসহ .jpg আকারে ছবি জমা দিতে হবে ২০ মে এর মধ্যে। নির্বাচিত সকল ছবি প্রদর্শিত হবে এক্সিবিশনে এবং রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০ টাকা। নির্বাচিত প্রতিটি ছবির ছবিয়ালকে:প্রিমিয়াম প্রিন্ট করা ছবি এবং পার্টিসিপেন্ট সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
ক্রাফ্ট এক্সিবিশন সম্পর্কে ইমন বলেন, অবশ্যই নিজের আঁকা ছবি হতে হবে। ছবিটি ফ্রেমসহ জমা দিতে হবে। ফ্রেম ছাড়া দিলে কোনো ক্ষয়ক্ষতির দায় কর্তৃপক্ষ নেবে না। ছবির সাথে আর্টিস্টের নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় সংযুক্ত থাকবে। প্রতিটি ছবির জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ২১ টাকা এবং আগামী ২০মে থেকে ২২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ২০ নাম্বার রুমে স্বশরীরে জমা দিতে হবে। এক্সিবিশন শেষে ছবিটি ফেরত দেওয়া হবে।
সংগঠনটি সাধারণ সম্পাদক মো. রিফাত আলী বলেন, আমাদের ক্লাবের এই উদ্যোগ শুধু একটি প্রদর্শনী নয়, এটি হলো আমাদের সদস্যদের চিন্তা, কল্পনা ও সৃষ্টিশীলতাকে প্রকাশের এক উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জ্ঞাননির্ভর প্রাঙ্গণে শিল্প ও সংস্কৃতির এমন আয়োজন নতুন মাত্রা যোগ করে আমাদের মানসিক ও নান্দনিক বিকাশে। এই প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হবে আলোকচিত্র, চিত্রকর্ম ও কারুশিল্প-যেগুলো প্রতিটি দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
একুশে সংবাদ/ এ.জে