পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে চারুকলা অনুষদের তৈরি প্রতীকী শিল্পকর্ম ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ সম্পূর্ণভাবে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়া আংশিকভাবে পুড়েছে অপর প্রতীক ‘শান্তির পায়রা’। ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৩ এপ্রিল) ভোর প্রায় ৪টা ৫০ মিনিটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. ইসরাফিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিকে টার্গেট করে আগুন লাগানো হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই সব ছাই হয়ে যায়।"
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চারুকলার প্রাঙ্গণে থাকা শিল্পকর্মগুলোর ছাই এখনও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শান্তির প্রতীক ‘পায়রা’ এবং ওপরের শামিয়ানা। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এবারের বাংলা নববর্ষের প্রতিপাদ্য ছিল: ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এ প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করেই মূল মোটিফ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’।
তবে এবার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে: ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এই শোভাযাত্রায় ২৮টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
ঘটনার পেছনে নাশকতার আশঙ্কা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিল্পীরা এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এটি কেবল শিল্পকলার ওপর আঘাত নয়, বরং মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংস্কৃতির বিরুদ্ধেও একটি সুস্পষ্ট বার্তা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে ঘটনাটি তদন্তে মাঠে নেমেছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের শনাক্তে কাজ চলছে।
একুশে সংবাদ//ই.ট//এ.জে