জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত ও মানহানির প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ৩ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ মব সন্ত্রাসের চাপে প্রশাসন অনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ন্যায় সঙ্গত নয়।
শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিসমূহহ হলো- বিদ্রোহী হল প্রভোস্টের মর্যাদাহানির সাথে জড়িত সকলকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে , তদন্ত ছাড়াই অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নেওয়া অযৌক্তিক প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে এবং যে সকল অনলাইন পেজ ও গ্রুপ মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থীকে উস্কে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের এসব দাবির প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকলেই আমার কাছে সমান। গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং জিম্মি করে বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে থেকেই সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারের দাবি-দাওয়া বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। যদি তা সম্ভব হয়, তাহলে আমি দায়িত্বে থাকবো, অন্যথায় থাকবো না।
তিনি আরো বলেন, গতকালের আন্দোলন চলাকালীন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে, যা দুঃখজনক। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বুধবার (১২ মার্চ) স্নাতকোত্তর শেষ হওয়ার আগেই হলের সিট বাতিল ও ইফতার টোকেন সংগ্রহের সময় অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে শিক্ষার্থীরা বিদ্রোহী হল প্রভোস্টের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন করে। পরে প্রশাসন তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ