লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ফসলি জমি ও বসতি এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ ৪৯টি ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের চর আফজল গ্রামের মেসার্স আমানত ব্রিকস (এএমএ) এবং মেসার্স গোলাম ছারোয়ার ব্রিকস (জেএসবি) নামের দুটি ইটভাটা সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ভাটার বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযান চলাকালে পাঁচটি ভেকু মেশিন ব্যবহার করে চুল্লি ও চিমনি ভাঙা এবং কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন। এতে যৌথভাবে অংশ নেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক জমির উদ্দিন, ঢাকা কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান, লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান এবং রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
জানা যায়, রামগতি উপজেলায় মোট ৫১টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র দুটি ভাটার যথাযথ অনুমোদন আছে। অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মালিকরা বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সাহায্যে চলতি মৌসুমে ভাটার কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।
অবৈধ ইটভাটা বন্ধকরণ আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সমাজকর্মী আশরাফুল আলম হান্নান বলেন, "রামগতিতে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। চলমান অভিযানে সবগুলো অবৈধ ইটভাটার বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে বলে আশা করছি।"
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন জানান, "রামগতিতে ৫১টি ইটভাটা রয়েছে, যার মধ্যে ৪৯টি অবৈধ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হয়েছে। অভিযান টানা ছয় দিন ধরে চলবে। অবৈধ ভাটা ভেঙে দেওয়ার পরও যাতে পুনরায় চালু করা না যায়, সেই নিশ্চয়তার জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।"
লক্ষ্মীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান বলেন, "জেলায় শতাধিক অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলোতে অভিযান চালানো হবে। অভিযানের প্রথম দিনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুটি ভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।"
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

